বছরে ৫ বার বিদেশ ভ্রমণ করেন এই নারী, সবসময় সাথে রাখেন এই ব্যাগ!

একটি নির্ভরযোগ্য ভ্রমণ সঙ্গী: বেইস মিনি উইকেন্ডার ব্যাগ – বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি পর্যালোচনা।

বর্তমান যুগে, যারা নিয়মিত ভ্রমণ করেন, তাদের জন্য সঠিক একটি হ্যান্ড ব্যাগ খুঁজে বের করা বেশ কঠিন। বিশেষ করে যখন আন্তর্জাতিক ভ্রমণের কথা আসে, তখন সীমিত জায়গায় প্রয়োজনীয় সবকিছু রাখা একটি চ্যালেঞ্জ।

লাগেজ ফি-এর ক্রমবর্ধমান হারে, এখন একটি কার্যকরী হ্যান্ডব্যাগ-এর প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে, যা একই সাথে ছোট এবং বেশি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। বেইস মিনি উইকেন্ডার ব্যাগ (Béis Mini Weekender Bag) তেমনই একটি পণ্য, যা ভ্রমণের সময় আপনার সঙ্গী হতে পারে।

এই ব্যাগটি পর্যালোচনা করেছেন ইতালির একজন ভ্রমণ লেখক যিনি বছরে পাঁচবার আন্তর্জাতিক ভ্রমণে যান। তার মতে, এই ব্যাগটি তার ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ করেছে।

যারা অল্প সময়ের জন্য দেশের বাইরে ভ্রমণ করেন, তাদের জন্য এই ব্যাগটি খুবই উপযোগী।

এই ব্যাগটির প্রধান আকর্ষণগুলো হলো এর আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং কার্যকারিতা। বেইস মিনি উইকেন্ডার ব্যাগের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • আকার এবং ধারণ ক্ষমতা: ব্যাগটির আয়তন প্রায় ৩৩ লিটার, যা এটিকে ভ্রমণের জন্য যথেষ্ট জায়গা দেয়।
  • বহুমুখী স্থান: ব্যাগের ভেতরে ল্যাপটপ রাখার জন্য একটি আলাদা স্থান রয়েছে, যা ল্যাপটপটিকে সুরক্ষিত রাখবে। এছাড়াও, চশমা, মোবাইল চার্জার এবং অন্যান্য ছোট জিনিস রাখার জন্য বেশ কয়েকটি পকেট রয়েছে।
  • জুতার আলাদা স্থান: ব্যাগের নিচে জুতা রাখার জন্য একটি বিশেষ স্থান রয়েছে, যা ভ্রমণের সময় খুবই কাজে আসে।
  • বহনযোগ্যতা: এই ব্যাগটি হাতে এবং কাঁধে বহন করার সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও, এটিকে ট্রলি ব্যাগের সাথেও যুক্ত করা যায়।

এই ব্যাগের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর ভেতরের জিনিসপত্র সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। ভ্রমণের সময় দ্রুত কিছু বের করার প্রয়োজন হলে, এর প্রশস্ত মুখ আপনাকে সাহায্য করবে।

এছাড়াও, এই ব্যাগটি সহজে বিমানের সিটের নিচে রাখা যায়, যা বিমানবন্দরের অতিরিক্ত লাগেজ ফি বাঁচানোর একটি ভালো উপায়।

এই ব্যাগটি তৈরি করা হয়েছে টেকসই উপাদান দিয়ে, যা দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। এটির বাইরের অংশ জলরোধী, যা বৃষ্টিতে আপনার জিনিসপত্রকে সুরক্ষিত রাখবে।

এই ব্যাগের ডিজাইন খুবই আধুনিক এবং বিভিন্ন রঙে এটি পাওয়া যায়।

দাম এবং প্রাপ্তিস্থান: বেইস মিনি উইকেন্ডার ব্যাগের দাম প্রায় ১০০ মার্কিন ডলার (ডলারের দামের তারতম্যের কারণে বাংলাদেশি টাকায় এর দাম জানতে বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করুন)। বাংলাদেশে এই ব্যাগটি সরাসরি পাওয়া নাও যেতে পারে।

তবে, অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে আন্তর্জাতিকভাবে পণ্যটি কেনার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে শুল্ক এবং ডেলিভারি চার্জ যুক্ত হতে পারে।

উপসংহার: বেইস মিনি উইকেন্ডার ব্যাগ একটি নির্ভরযোগ্য ভ্রমণ সঙ্গী হতে পারে, বিশেষ করে যারা হালকা ওজনের ব্যাগ পছন্দ করেন এবং ছোট ভ্রমণে যান।

এর ডিজাইন, কার্যকারিতা এবং বহনযোগ্যতা এটিকে একটি আকর্ষণীয় বিকল্প করে তুলেছে। যদিও দাম কিছুটা বেশি হতে পারে, তবে এর গুণমান এবং সুবিধার কারণে এটি মূল্যবান।

যারা প্রায়ই ভ্রমণ করেন, তাদের জন্য এই ব্যাগটি একটি ভালো বিনিয়োগ হতে পারে।

তথ্য সূত্র: Travel + Leisure

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *