বেলজিয়ামের একটি বারে ৪১ জন নারীর ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোর্ট্রাইকে অবস্থিত তিনটি বারের ম্যানেজারকে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, নারীদের পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে তাদের অজ্ঞান করা হতো এবং এরপর তাদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ সালের মধ্যে অন্তত ৪১ জন নারী এই ঘটনার শিকার হয়েছেন। তদন্ত এখনো চলছে এবং এতে আরও ভুক্তভোগীর সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং ক্ষতিকর দ্রব্য মেশানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
তদন্তের সঙ্গে জড়িত মুখপাত্র গ্রিট ডি প্রিস্ট জানান, প্রধান সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য একজনকে বৃহস্পতিবার বিচারকের সামনে হাজির করার কথা রয়েছে, আর তৃতীয় সন্দেহভাজনকে মঙ্গলবার ও বুধবার গ্রেপ্তার করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তাদের প্রায়শই ‘আমারাতো’ ফ্লেভারের অ্যালকোহল পান করতে দেওয়া হতো। এরপর তারা হয়তো একটি অচেনা বিছানায়, না হয় নিজেদের বাড়িতে জ্ঞান ফিরে পেতেন। তাদের শরীরে যৌন নির্যাতনের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বেলজিয়ামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড কুইন্টিন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, “যদি মাদক সহজে ও সস্তায় পাওয়া যায়, তবে অপরাধ করা সহজ হয়ে যায়।
নারীদের যে কোনো সময়, যে কোনো স্থানে নিরাপদে ঘোরাফেরার স্বাধীনতা থাকতে হবে।”
তথ্যসূত্র: The Guardian