বিখ্যাত টিভি সিরিজ ‘দ্য লাস্ট অফ আস’-এর অভিনেত্রী বেলা র্যামসি, যিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন, সম্প্রতি নিজের জীবন ও অভিনয় জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন। ২১ বছর বয়সী এই তরুণ অভিনেত্রী শুধু অভিনয় শিল্পী হিসেবেই নন, বরং একজন মানুষ হিসেবেও পরিচিতি পেতে চান।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে র্যামসি জানিয়েছেন, অভিনয় জগতে তার পথচলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নানা অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির কথা।
বেলা র্যামসির অভিনয় জীবন শুরু হয় ছোট বয়সেই। ‘গেম অফ থ্রোনস’-এর মতো জনপ্রিয় সিরিজে ছোট্ট লিয়ানা মরমন্টের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি পরিচিতি পান। এরপর ‘দ্য ওর্স্ট উইচ’ -এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের আরও কাছে আসেন।
তবে, র্যামসির ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ‘দ্য লাস্ট অফ আস’। এই সিরিজে এলি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেন।
এই সিরিজের প্রথম সিজনের সাফল্যের পর দ্বিতীয় সিজনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন দর্শক।
‘দ্য লাস্ট অফ আস’ -এর প্রথম সিজনের গল্পে দেখা যায়, এক ভয়াবহ ভাইরাস সংক্রমণের পরে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হয়।
র্যামসি অভিনীত চরিত্র এলি এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। দ্বিতীয় সিজনে, এলির জীবন এবং তার চারপাশের সম্পর্কগুলো আরও গভীরভাবে ফুটিয়ে তোলা হবে।
অভিনেত্রী হিসেবে র্যামসির কাজের প্রশংসা করেছেন অনেকে।
ছোটবেলা থেকেই র্যামসি-র অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল। যদিও তিনি কখনোই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেননি, তবে অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা তাকে এই পথে টেনে এনেছে।
তিনি জানান, অভিনয় করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে কাজ করার সুযোগ হয়েছে, যা তাকে সমৃদ্ধ করেছে। র্যামসি মনে করেন, একজন শিল্পী হিসেবে নিজেকে আরও অনেক দূর নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কথা বলেছেন র্যামসি। তিনি নিজেকে ‘নন-বাইনারি’ হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এই পরিচয় দেওয়াটা তার কাছে নিজের প্রতি সৎ থাকারই নামান্তর।
নিজের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে র্যামসি জানান, তিনি ‘নিউরোডাইভার্স’। নিজেকে নিয়ে নতুন উপলব্ধির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়টি তাকে বুঝতে সাহায্য করেছে এবং প্রতিদিনের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
সামাজিক মাধ্যমে র্যামসি’র উপস্থিতি বেশ সীমিত।
তিনি মনে করেন, খ্যাতি অর্জনের চেয়ে নিজের কাজকে গুরুত্ব দেওয়া বেশি জরুরি।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে র্যামসি জানান, তিনি অভিনয় চালিয়ে যেতে চান এবং একই সাথে লেখা ও পরিচালনার কাজ করতে আগ্রহী।
বেলা র্যামসির অভিনয় জীবন, ব্যক্তিগত সংগ্রাম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার গল্প, তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা যোগায়। নিজের কাজের মাধ্যমে দর্শকদের আরও অনেক কিছু দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান