ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা রাগবি খেলোয়াড়, বেন ইয়ংস, আসন্ন জুন মাসেই পেশাদার রাগবি থেকে অবসর গ্রহণ করতে চলেছেন। দীর্ঘ ১৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানতে প্রস্তুত তিনি।
এই সময়ে তিনি দেশের হয়ে রেকর্ড সংখ্যক ১২৭টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
বেন ইয়ংসের রাগবি জীবনের শুরুটা হয়েছিল ২০০৭ সালে, যখন তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে লেস্টার টাইগর্স ক্লাবের হয়ে খেলতে নামেন। এরপর থেকে তিনি একটানা এই ক্লাবের হয়েই খেলে গেছেন, যা তার আনুগত্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ক্লাবটির হয়ে তিনি এখন পর্যন্ত ৩৩২টি ম্যাচ খেলেছেন। ইংল্যান্ডের জার্সিতে তিনি চারটি বিশ্বকাপেও অংশ নিয়েছেন।
২০১৩ সালে তিনি ব্রিটিশ ও আইরিশ লায়ন্স দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন। এছাড়া ২০১৫ ও ২০১৭ সালেও তিনি লায়ন্স দলে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এই খেলোয়াড়ের অসাধারণত্ব শুধু মাঠের খেলায় নয়, বরং তার নেতৃত্বগুণেও প্রকাশ পেয়েছে। দলের তরুণ খেলোয়াড়দের কাছে তিনি ছিলেন অনুপ্রেরণা।
তার পিতা নিক ইয়ংসও একসময় লেস্টার এবং ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন। ইয়ংস পরিবারের সদস্যরা মিলে লেস্টার টাইগর্সের হয়ে ৬৯২টি ম্যাচে অংশ নিয়েছেন, যা সত্যিই একটি বিরল দৃষ্টান্ত।
অবসর প্রসঙ্গে ইয়ংস জানিয়েছেন, “অবশ্যই, এই চিন্তাটা আমাকে দুঃখ দেয় যে আমার ক্যারিয়ার শেষ হতে চলেছে। কিন্তু একইসাথে, আমি এই মৌসুমের বাকি সময়টা এবং দলের হয়ে ভালো কিছু করার জন্য মুখিয়ে আছি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি এখনই বিদায় নিতে রাজি নই। এখনো অনেক খেলা বাকি আছে এবং আমি চাই সাফল্যের সাথে এই অধ্যায় শেষ করতে। আমি এখনো মাঠ ছাড়িনি, তাই এখনই আমার জীবনী লেখার প্রয়োজন নেই।”
এদিকে, নিউক্যাসল ইউনাইটেড ক্লাব তাদের তরুণ খেলোয়াড়দের অন্য ক্লাবে চলে যাওয়ার কারণে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি পরামর্শ চেয়েছে। ক্লাবের পরিচালক স্টিভ ডায়মন্ড জানিয়েছেন, সারাসেনস এবং বাথ ক্লাবের কাছ থেকে তাদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ এখনো পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, খেলোয়াড় হারানোর ক্ষতিপূরণ পেতে কর্তৃপক্ষের দীর্ঘসূত্রিতা তাদের হতাশ করেছে।
বেন ইয়ংসের এই বিদায় রাগবি বিশ্বের জন্য একটি বড় ক্ষতি। তবে, তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং খেলাধুলার প্রতি উৎসর্গীকৃত মনোভাব তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য সবসময় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান