বারমুডা: এক সময়ের জনমানবহীন দ্বীপ থেকে আজকের সমুদ্র সৈকতের স্বর্গরাজ্য
ছোট্ট একটি দ্বীপরাষ্ট্র, আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে, যার নাম বারমুডা। উত্তর আমেরিকার উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ মাইল দূরে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জটির ইতিহাস কয়েক শতাব্দীর।
শুরুতে এখানে কোনো মানুষের বসতি ছিল না, কিন্তু কালের পরিক্রমায় এটি হয়ে উঠেছে এক সমৃদ্ধ সংস্কৃতির আঁতুড়ঘর। আজ আমরা সেই বারমুডার গল্প শুনব, কিভাবে এটি বিবর্তিত হলো।
পনেরো শতকের আগে পর্যন্ত বারমুডা ছিল মানুষের কাছে অজানা। এর প্রধান কারণ ছিল দ্বীপটির দুর্গমতা। কিন্তু এরপরই বাড়ে ইউরোপীয় নাবিকদের আনাগোনা।
বারমুডা হয়ে ওঠে ইউরোপ, ক্যারিবিয়ান এবং আমেরিকার মধ্যে জাহাজ চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
বারমুডার সংস্কৃতি শুধু সমুদ্র বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠেনি। ১৬১২ সালে ব্রিটিশরা এখানে বসতি স্থাপন করে এবং এর চার বছর পরেই, অর্থাৎ ১৬১৬ সাল থেকে, শুরু হয় আফ্রিকার দাসদের আনাগোনা।
তাদের শ্রম আর জ্ঞান দ্বীপটির উন্নতিতে বিশাল ভূমিকা রেখেছিল।
বারমুডার সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ‘গম্বি’ নৃত্য। এটি মূলত আফ্রিকান, ক্যারিবিয়ান এবং ব্রিটিশ সংস্কৃতির মিশ্রণে গঠিত।
মুখোশ পরিহিত, রঙিন পোশাকে সজ্জিত হয়ে এই নৃত্যশিল্পীরা এক সময় নিপীড়নের শিকার হলেও, বর্তমানে এটি বারমুডার মানুষের গর্ব ও উৎসবের প্রতীক।
বারমুডার ইতিহাস, এর সংস্কৃতি, এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা – সবই এক দীর্ঘ পরিবর্তনের ফল। এই দ্বীপের বিবর্তনের পেছনে রয়েছে জাহাজডুবি, দাসত্ব, অভিবাসন এবং প্রতিরোধের মতো ঘটনা।
বারমুডার এই আকর্ষণীয় ইতিহাস জানতে হলে, শুনতে পারেন ‘লস্ট কালচারস: লিভিং লেগাসিস’ নামক পডকাস্ট।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার