প্রুডেন্স ও ন্যান্সি: দুই চরিত্রে বেসি কার্টার! বিস্ফোরক মন্তব্য!

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত জনপ্রিয় ধারার নাটক সবসময়ই দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে থাকে। সম্প্রতি, “ব্রিজারটন” খ্যাত অভিনেত্রী বেসি কার্টার-এর নতুন একটি কাজ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, যা বাংলাদেশের দর্শকদেরও আকৃষ্ট করতে পারে।

তিনি এবার অভিনয় করছেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ লেখিকা ন্যান্সি মিটফোর্ড-এর চরিত্রে, “আউটেজাস” নামের একটি সিরিজে।

ব্রিটিশ লেখক, ন্যান্সি মিটফোর্ডের জীবন ও তাঁর পাঁচ বোনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এই সিরিজটি। ১৯৩০ দশকের প্রেক্ষাপটে, সমাজের উঁচু স্তরের মানুষের জীবনযাত্রা, বিলাসিতা এবং তৎকালীন সময়ের সামাজিক প্রেক্ষাপট এতে তুলে ধরা হয়েছে।

বেসি কার্টার-এর মতে, এই কাজটি তাঁর জন্য খুবই বিশেষ। কারণ, ন্যান্সি মিটফোর্ডের সম্পর্কে তিনি আগে থেকেই অনেক কিছু জানতেন। এমনকি, তিনি যে হাসপাতালে জন্মেছিলেন, সেই হাসপাতালেই ন্যান্সি মিটফোর্ড যুদ্ধকালে কাজ করতেন।

“আউটেজাস”-এ কাজ করা প্রসঙ্গে বেসি কার্টার বলেন, “মনে হয়েছিল যেন কাজটি আমার জন্যই নির্ধারিত ছিল।” চরিত্রটি সম্পর্কে তাঁর গভীর অনুভূতির কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, ন্যান্সি মিটফোর্ডকে নিজের মধ্যে অনুভব করতে পারাটা তাঁর জন্য সম্মানের।

লেখিকা হিসেবে ন্যান্সির কাজের স্বাধীনতা এবং তাঁর নিজস্বতা, বেসিকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে।

“ব্রিজারটন”-এর প্রুডেন্স ফেদারিংটন-এর চরিত্রের সঙ্গে ন্যান্সি মিটফোর্ডের চরিত্রকে তুলনা করা কঠিন। বেসি কার্টার-এর মতে, “দুজনেই সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের চরিত্র, তবে দুটো চরিত্রই অভিনয় করার মতো।”

প্রুডেন্সের চরিত্রে অভিনয় করাটা তাঁর কাছে মজাদার ছিল, কারণ বাস্তবে তিনি এমন নন। অন্যদিকে, ন্যান্সির চরিত্রে অভিনয় করাটা ছিল তাঁর জন্য আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং, কারণ এই চরিত্রটি তাঁর খুব কাছের।

“আউটেজাস”-এর চিত্রনাট্য এবং নির্মাণশৈলী সম্পর্কে বেসি কার্টার বলেন, “সিরিজটি দ্রুতগতির, মজাদার এবং এতে একটি বিশেষ প্রাণ রয়েছে।” পোশাকের ডিজাইন থেকে শুরু করে সে সময়ের পরিবেশ—সবকিছুই এতে বাস্তবসম্মতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যা “ব্রিজারটন”-এর চেয়ে ভিন্ন।

“আউটেজাস” সিরিজটি তৈরি হয়েছে মেরি এস. লাভেলের লেখা “দ্য সিস্টার্স” অবলম্বনে। সিরিজটিতে সমাজের উঁচু স্তরের মানুষের জীবনযাত্রা এবং মিটফোর্ড পরিবারের নানা ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।

ব্রিটবক্স-এ বর্তমানে এই সিরিজটি দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে এই প্ল্যাটফর্মটি সহজলভ্য না হলেও, আগ্রহীরা অন্য কোনো মাধ্যমে এটি উপভোগ করতে পারেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *