ভয় বা উদ্বেগের কারণে যারা বিমানে চড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না, তাদের জন্য ২০২৩ সালের সেরা এয়ারলাইন্সগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে Bounce.com নামক একটি ওয়েবসাইট। এই তালিকা তৈরির জন্য সিটগুরু (SeatGuru) থেকে ইকোনমি ক্লাসের সিটের গড় স্থান ও প্রস্থ, স্কাইট্র্যাক্স (Skytrax) থেকে এয়ারলাইন্সের গড় রিভিউ স্কোর এবং এয়ারলাইন রেটিং থেকে নিরাপত্তা স্কোর বিবেচনা করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ২,০০০ ব্রিটিশ নাগরিকের উপর একটি জরিপও চালানো হয়েছিল, যেখানে তাদের কেবিন ক্রুদের আচরণ, খাবারের মান, সিটে বালিশ-কম্বল ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন—এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
সব তথ্য ও জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স (Singapore Airlines) এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। যারা বিমানে চড়তে কিছুটা নার্ভাস অনুভব করেন, তাদের জন্য সম্ভবত এটিই সেরা।
কারণ, যাত্রী-অভিজ্ঞতার দিক থেকে এয়ারলাইন্সটি অসাধারণ। তাদের নিরাপত্তা এবং গ্রাহক-পর্যালোচনা স্কোরও চমৎকার। বিশেষ করে ইকোনমি ক্লাসে ১৭.৫ ইঞ্চি সিটের প্রস্থ থাকায় যাত্রীরা দীর্ঘ ভ্রমণেও আরামে বসতে পারেন।
এছাড়াও, ফ্লাইটের সময় যাত্রীদের মানসিক শান্তির জন্য এয়ারলাইন্সটি মেডিটেশন প্লেলিস্ট সরবরাহ করে থাকে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কোরিয়ান এয়ার (Korean Air)। যারা আরামের সঙ্গে পা ছড়িয়ে বসতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই এয়ারলাইন্সটি খুবই উপযোগী।
কোরিয়ান এয়ারে ইকোনমি ক্লাসের সিটগুলোর মধ্যেকার দূরত্ব বা “সীট পিচ” ৩২.৫ ইঞ্চি, যা অন্যান্য এয়ারলাইন্সের তুলনায় বেশি। যেমন, ক্যাথে প্যাসিফিকে (Cathay Pacific) এই দূরত্ব ৩২ ইঞ্চি এবং জাপান এয়ারলাইন্সে (Japan Airlines) ৩১.৭ ইঞ্চি।
এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ক্যাথে প্যাসিফিক (Cathay Pacific)। এই এয়ারলাইন্সটিও নার্ভাস যাত্রীদের জন্য বেশ নির্ভরযোগ্য।
ক্যাথে প্যাসিফিক তাদের ফ্লাইটে আরামের জন্য মেডিটেশন প্লেলিস্ট সরবরাহ করে থাকে। এমনকি মানসিক শান্তির জন্য তারা হেডস্পেসের (Headspace) সঙ্গে যুক্ত।
বর্তমানে বিমান ভ্রমণ আগের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ। তবে, যাত্রা পথে মানসিক শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে উপযুক্ত এয়ারলাইন্স নির্বাচন করা জরুরি।
আপনার ভ্রমণের জন্য এয়ারলাইন্স বাছাই করার সময় সিটের আকার, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল এন্ড লেজার