বসন্তের ফ্যাশনে আরামদায়ক এবং স্টাইলিশ জুতার চাহিদা বাড়ছে, আর সেই তালিকায় নতুন সংযোজন ক্লগ (Clogs)। পাশ্চাত্যের ফ্যাশন দুনিয়ায় এর জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে, এবং এটি ধীরে ধীরে আমাদের দেশের ফ্যাশন সচেতন মানুষের মাঝেও জায়গা করে নিচ্ছে।
ক্লগ মূলত এক ধরনের কাঠের তৈরি বা কাঠের মতো দেখতে আরামদায়ক এবং সহজে পরার মতো জুতা।
এই সময়ে বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ড ক্লগের নতুন ডিজাইন নিয়ে এসেছে, যেখানে আরাম এবং ফ্যাশনের এক দারুণ সমন্বয় দেখা যায়। যাদের পায়ের আরামের পাশাপাশি ফ্যাশন সচেতনতাও রয়েছে, তাদের জন্য ক্লগ হতে পারে দারুণ একটি পছন্দ।
বিভিন্ন ধরনের ক্লগ পাওয়া যাচ্ছে, যেমন – চামড়ার ক্লগ, সুয়েড ক্লগ, এবং রাবারের ক্লগ।
যদি আরামের দিক থেকে বিচার করেন, তাহলে ক্লগ-এর জুড়ি মেলা ভার। অনেক ক্লগ-এ নরম ইনসোল (insole) ব্যবহার করা হয়, যা পায়ের তলায় আরাম দেয় এবং সারাদিন জুতা পরে থাকার ক্লান্তি দূর করে।
বাজারে বিভিন্ন দামের ক্লগ পাওয়া যায়, যার শুরুটা প্রায় ২৪ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২,৮০০ টাকা) থেকে।
কিছু জনপ্রিয় ক্লগ ব্র্যান্ড হলো – Crocs, Birkenstock, এবং Dr. Martens। Crocs -এর ক্লগগুলো হালকা ও সহজে পরিষ্কার করা যায়, যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য খুবই উপযোগী।
Birkenstock -এর ক্লগ-এর মূল আকর্ষণ হলো এর আরামদায়ক সোল, যা পায়ের আকারের সাথে মানানসই হয়ে ব্যবহারকারীকে বিশেষভাবে আরাম দেয়। Dr. Martens -এর ক্লগগুলো তাদের ক্লাসিক ডিজাইন এবং স্থায়িত্বের জন্য পরিচিত।
বৃষ্টির দিনে ক্লগ-এর জলরোধী বৈশিষ্ট্য এটিকে আরও উপযোগী করে তোলে। বাজারে এমন অনেক ক্লগ পাওয়া যায় যেগুলো জলরোধী উপাদান দিয়ে তৈরি, যা পায়ের সুরক্ষায় সাহায্য করে।
ফ্যাশন সচেতন মানুষের জন্য ক্লগ একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে। বিভিন্ন পোশাকের সাথে এটি সহজেই মানানসই। জিন্স, শার্ট অথবা আরামদায়ক পোশাকের সাথে ক্লগ-এর পরিধান আপনাকে দেবে স্মার্ট লুক।
বাংলাদেশে ক্লগ-এর বাজার এখনো সেভাবে প্রসারিত হয়নি, তবে অনলাইন শপিং এবং কিছু নির্বাচিত দোকানে এই ধরনের জুতা পাওয়া যেতে পারে। আরাম এবং ফ্যাশনের এই যুগলবন্দী জুতাটি যারা পছন্দ করেন, তাদের জন্য ক্লগ একটি নির্ভরযোগ্য এবং স্টাইলিশ বিকল্প হতে পারে।
তথ্যসূত্র: Travel and Leisure