বসন্তের আগমনীর সাথে সাথে, পশ্চিমা বিশ্বে শুরু হয়েছে কেনাকাটার ধুম। পোশাক থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর জিনিসপত্র—সবকিছুতেই চলছে বিশাল ছাড়।
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, এই ছাড়ের বাজার আসলে কেমন? আসুন, জেনে নিই আন্তর্জাতিক বাজারের কিছু হালচাল, যা আমাদের কেনাকাটার ধারণা দিতে পারে।
আমেরিকার খ্যাতনামা কিছু দোকানে এখন চলছে বিভিন্ন অফার। লেভি’স (Levi’s)-এর মত পোশাকের ব্র্যান্ডে পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।
এছাড়াও, কেট স্পেড আউটলেট-এ (Kate Spade Outlet) হ্যান্ডব্যাগ-এর উপর রয়েছে আকর্ষণীয় অফার, যেখানে একশো ডলারের নিচেও ব্যাগ পাওয়া যাচ্ছে।
যারা বাড়ির জন্য আসবাবপত্র খুঁজছেন, তাদের জন্য Wayfair-এ (ওয়েফেয়ার) রয়েছে দারুণ সুযোগ, যেখানে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে বেডফ্রেম, টেবিল ও অন্যান্য জিনিস পাওয়া যাচ্ছে।
এই সময়ে, বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও চলছে নানা ধরনের সেল।
অ্যামাজনে (Amazon) যেমন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার-এর উপর ডিসকাউন্ট পাওয়া যাচ্ছে, তেমনই BaubleBar-এ (বাবলবার) গয়নার উপর রয়েছে বিশেষ ছাড়।
এছাড়া, Crocs-এর (ক্রোকস) জুতো এবং J.Crew-এর (জে ক্রু) সাঁতারের পোশাক-এর মত জিনিসও এখন পাওয়া যাচ্ছে বেশ কম দামে।
এই ধরনের সেলগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হয়ে থাকে, তাই ক্রেতাদের জন্য সুযোগ থাকে পছন্দের জিনিসগুলো কিনে নেওয়ার।
তবে, এই অফারগুলো যেহেতু মূলত পশ্চিমা বাজারের জন্য, তাই আমাদের দেশের ক্রেতাদের জন্য কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে।
এই দোকানগুলো থেকে সরাসরি বাংলাদেশে পণ্য আনা বেশ কঠিন হতে পারে, কারণ আন্তর্জাতিক শিপিং এবং ট্যাক্সের কারণে অনেক সময় দাম বেড়ে যায়।
উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি ব্যাগ একশো ডলারে পাওয়া যায়, বাংলাদেশি মুদ্রায় (১ ডলার = ১১০ টাকা ধরে) এর দাম হতে পারে প্রায় ১১,০০০ টাকা।
তবে, শিপিং এবং ট্যাক্স যোগ করার পর এই দাম আরও বাড়তে পারে।
সুতরাং, আন্তর্জাতিক বাজারের এই ছাড়গুলো আমাদের কেনাকাটার একটি ধারণা দিতে পারে, কিন্তু সরাসরি এখান থেকে জিনিস কেনার আগে শিপিং এবং ট্যাক্সের বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে।
তথ্য সূত্র: পিপল