বিদেশি সিনেমার সেরা মার্কিন রিমেক: তালিকায় আপনার পছন্দের সিনেমা?

হলিউডের বিশ্ব সিনেমা: ২০টি আমেরিকান পুনর্নির্মাণের দিকে এক ঝলক

সিনেমা সবসময়ই একটি আকর্ষণীয় জগৎ। দর্শকদের মন জয় করতে, বিভিন্ন ধরনের গল্প বলতে, হলিউড বরাবরই অন্য ভাষার সফল সিনেমাগুলোর দিকে ঝুঁকেছে।

মূল সিনেমার গল্প বলার ধরন, চরিত্র এবং বিষয়বস্তুগুলো নতুন করে সাজিয়ে আমেরিকান সংস্করণে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করেছে।

সম্প্রতি, একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটে সেরা ২০টি আমেরিকান পুনর্নির্মিত সিনেমার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আসুন, সেই সিনেমাগুলোর দিকে তাকানো যাক এবং দেখে নেওয়া যাক, কোন সিনেমাগুলো কতটা সফল হয়েছে।

তালিকায় সবার উপরে আছে ১৯৬০ সালের “দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন”।

এটি ১৯৫৪ সালের জাপানি চলচ্চিত্র “সেভেন সামুরাই”-এর পুনর্নির্মাণ।

ইয়ুল ব্রাইনার, স্টিভ ম্যাককুইন এবং জেমস কোবার্নের অভিনয় এই সিনেমাটিকে বিশেষত্ব দিয়েছে।

অ্যাকশন এবং গল্পের বুননে এটি আজও দর্শকদের মন জয় করে।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উইলিয়াম ফ্রিডকিনের ১৯৭৭ সালের সিনেমা “সোরসারার”।

এটি জর্জেস আরনডের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত, তবে ১৯৫৩ সালের ফরাসি সিনেমা “দ্য ওয়েজেস অফ ফিয়ার”-এর সাথে এর গভীর মিল রয়েছে।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা সিনেমাটি হল “কুইক চেঞ্জ” (১৯৯০)।

এটি ১৯৮৫ সালের ফরাসি-কানাডিয়ান সিনেমা “হোল্ড-আপ”-এর পুনর্নির্মাণ।

বিল মারে এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন এবং একই সাথে এটি পরিচালনাও করেছেন।

“র‍্যাথ অফ ম্যান” (২০২১), “দ্য রিং” (২০০২), “লেট মি ইন” (২০১০), “দ্য ডিপার্টেড” (২০০৬), “দ্য গার্ল উইথ দ্য ড্রাগন ট্যাটু” (২০১১), “ট্রু লাইজ” (১৯৯৪), “সুইট চ্যারিটি” (১৯৬৯) -এর মতো সিনেমাগুলোও এই তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে।

এই সিনেমাগুলো বিভিন্ন সময়ে দর্শক এবং সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

“ইনসোমনিয়া” (২০০২) ১৯৯৭ সালের একটি নরওয়েজিয়ান থ্রিলারের পুনর্নির্মাণ।

ক্রিস্টোফার নোলানের পরিচালনায় আল পাচিনো এবং রবিন উইলিয়ামস-এর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।

এছাড়াও, “ভ্যানিলা স্কাই” (২০০১), “আনফেইথফুল” (২০০২), “দ্য গ্রাজ” (২০০৪), “দ্য বার্ডকেজ” (১৯৯৬), “স্পিক নো ইভিল” (২০২৩), “ওল্ডবয়” (২০১৩), “ডিনার ফর স্মাকস” (২০১০), “ফানি গেমস” (২০০৭) এবং “দ্য ভ্যানিশিং” (১৯৯৩)-এর মতো সিনেমাগুলোও এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

এই তালিকাটি আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতাদের অন্য ভাষার সিনেমা থেকে গল্প ধার করে, নিজেদের মতো করে দর্শকদের সামনে উপস্থাপনের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তবে, মূল সিনেমার নির্মাতাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে, তাদের সৃষ্টিকে যথাযথ মূল্যায়ন করাটাও জরুরি।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *