মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছিল। জানা গেছে, বাইডেনের উপদেষ্টা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে তাঁর স্মৃতি ও মানসিক অবস্থা পরীক্ষার বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত এই ধরনের কোনো পরীক্ষা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্প্রতি প্রকাশিত হতে যাওয়া একটি নতুন বইয়ে এই তথ্য উঠে এসেছে, যা দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
বইটির নাম ‘২০২৪: হাউ ট্রাম্প রিতুক দ্য হোয়াইট হাউস অ্যান্ড দ্য ডেমোক্র্যাটস লস্ট আমেরিকা’। তিনজন মার্কিন রাজনৈতিক সাংবাদিক এই বইটি লিখেছেন।
বইটিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাইডেনের উপদেষ্টারা তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেছিলেন, এমন একটি পরীক্ষা বাইডেনের মানসিক সক্ষমতা প্রমাণ করতে সহায়ক হবে।
যদিও তাঁরা জানতেন, বাইডেন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন, কিন্তু তাঁরা আশঙ্কা করেছিলেন, এই পরীক্ষার বিষয়টি সামনে আসলে তা বাইডেনের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তৈরি করবে। তাই শেষ পর্যন্ত এই পরীক্ষাটি না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বইটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রীষ্মকালে বিতর্কের সময় বাইডেনের দুর্বল পারফরম্যান্স ভোটার ও ডেমোক্র্যাটদের হতাশ করে। এরপর তীব্র সমালোচনার মুখে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে সরে দাঁড়ান এবং তাঁর পরিবর্তে কমলা হ্যারিসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কমলা হ্যারিসও ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হন। এর ফলে প্রাক্তন এই রিয়ালিটি টিভি তারকা ও ব্যবসায়ী আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুধু দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় নয়, বরং এর আন্তর্জাতিক গুরুত্বও অনেক। এই নির্বাচনের ফলাফল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপর, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপর প্রভাব ফেলে।
নতুন বইটিতে বাইডেনের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে আলোচনা এবং পরবর্তীতে তাঁর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘটনা, আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান