ট্রাম্পের ঝড়ে প্রযুক্তি জায়ান্টদের ‘দুর্দশা’, শেয়ার বাজারে বিরাট পতন!

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে প্রযুক্তি খাতের ‘বিশাল সাত’-এর সংকট

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকেই প্রযুক্তিখাতের প্রভাবশালী সাতটি কোম্পানির (Apple, Microsoft, Nvidia, Amazon, Tesla, Alphabet – Google, এবং Meta – Facebook) শেয়ারের বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের নীতিমালার কারণে এই কোম্পানিগুলো এখন বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন।

গত ২০শে জানুয়ারী, ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এই কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত বাজার মূল্যে প্রায় ৩৮০০ বিলিয়ন ডলারের পতন হয়েছে, যা শতকরা হিসাবে প্রায় ২২ শতাংশ। প্রযুক্তিখাতের এই শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো একসময় ভেবেছিল, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে তারা আরও বেশি সুবিধা পাবে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক চুক্তিগুলোতে তারা আরও সুযোগ খুঁজছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।

ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিমালার কারণে কোম্পানিগুলোকে এখন বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হলো বাণিজ্য যুদ্ধ এবং শুল্ক বৃদ্ধি। চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। যদিও কিছু ক্ষেত্রে শুল্কের বোঝা কমানো হয়েছে, তবে এই ছাড় বেশিদিন নাও টিকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়াও, মেটা’র বিরুদ্ধে একচেটিয়া ব্যবসার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং গুগলকে ভেঙে দেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলছে। অ্যাপল এবং অ্যামাজনের বিরুদ্ধেও সরকার অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যদিকে, এনভিডিয়াকে তাদের তৈরি কিছু অত্যাধুনিক চিপ চীনে রপ্তানি করতে দেওয়া হচ্ছে না, যার ফলে কোম্পানিটিকে প্রায় ৫.৫ বিলিয়ন ডলার লোকসান গুনতে হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীরা (Chief Executive Officers – CEO) তাদের ত্রৈমাসিক আয়ের ঘোষণার সময় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। টেসলার পক্ষ থেকে তাদের প্রথম প্রান্তিকের ব্যবসার হিসাব প্রকাশের মাধ্যমে এই আলোচনা শুরু হবে। এরপর গুগল, অ্যামাজন, মেটা, মাইক্রোসফট এবং সবশেষে এনভিডিয়া তাদের আয়ের হিসাব প্রকাশ করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিমালার কারণে প্রযুক্তিখাতে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা কোম্পানিগুলোর জন্য ভবিষ্যতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

তথ্য সূত্র: Associated Press

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *