বন্ধু মহলে একটি সাধারণ ভোজন অনুষ্ঠানে বিল ভাগাভাগি নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি একদল বন্ধুর দুপুরের আড্ডায় নতুন পরিচিত এক নারীর আচরণে বিরক্ত হয়েছেন একজন।
ওই নারী মদ্যপান করেননি, তাই বিলের হিসাব আলাদা করতে বলেন, শুধু কোমল পানীয়ের খরচটুকু ধরিয়ে। শুধু তাই নয়, তিনি টিপসও দেননি।
এরপর বন্ধুদের জোর করে ডেকে নিয়েছিলেন মিষ্টিমুখ করতেও। এই ঘটনা নিয়ে অনলাইনে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন এক নারী তার বন্ধুদের সঙ্গে এক রেস্তোরাঁয় খেতে যান। তাদের সঙ্গে ছিলেন আরেকজন, যিনি আগে ওই নারীর পরিচিত ছিলেন না।
খাবার শেষে বিলের হিসাব মেলানোর সময় সমস্যা শুরু হয়। নতুন আসা বন্ধুটি জানান, তিনি যেহেতু মদ খাননি, তাই তার অংশের বিল আলাদাভাবে হিসাব করতে হবে।
তিনি শুধু কোমল পানীয় পান করেছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই নারী বলেন, “আমরা যখন বিল মেলাতে গেলাম, তখন তিনি বললেন, ‘আমার পান করা অ্যালকোহল বাদে, বাকিটা হিসাব করেন।’ এরপর দেখা গেল, তিনি তিনটি কোক পান করেছেন, যার দাম আমাদের মদের দামের কাছাকাছি।
শুধু তাই নয়, ওই নারী আরও একটি কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তিনি জোর করে সবার জন্য ডেজার্ট অর্ডার করতে বলেন, যাতে তিনি একা অনুভব না করেন।
এরপর বিল পরিশোধের সময় তিনি কোনো টিপস দিতেও রাজি হননি।
এই ঘটনায় বিরক্ত হয়ে ওই নারী এখন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে বলছেন, ভবিষ্যতে যেন ওই নারীকে আর কোনো আড্ডায় না ডাকা হয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি অনলাইনে প্রশ্ন তুলেছেন, মদ্যপান না করলে বিল থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায় কিনা?
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে অনেকে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, মদ্যপান না করলে বিল ভাগাভাগিতে সমস্যা হওয়ার কোনো কারণ নেই।
আবার কারো কারো মতে, যারা বেশি মদ্যপান করেন, তাদের খরচ বহন করার কোনো মানে হয় না।
অনেকে আবার টিপস না দেওয়াকে খারাপ চোখে দেখছেন।
এই ঘটনার পর অনেকেই জানতে চান, বন্ধুদের সঙ্গে বিল ভাগাভাগির ক্ষেত্রে কোন ধরনের আচরণ করা উচিত।
এক্ষেত্রে সবার মধ্যে বোঝাপড়া থাকাটা জরুরি। বন্ধুদের মধ্যে আলোচনা করে একটি সমাধানে আসা যেতে পারে, যাতে কারো মনে কোনো কষ্ট না থাকে।
তথ্য সূত্র: পিপল