বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী বিলি আইলিশ, যিনি বিশ্বজুড়ে তার গানের জন্য পরিচিত, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের নামের প্রতি শৈশবের অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছেন। ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ছোটবেলায় তিনি তার এই নামটি একদম পছন্দ করতেন না।
মাত্র ২৩ বছর বয়সী এই শিল্পী জানান, ছোটবেলায় বিলি নামটি তার কাছে একটি ছেলের নামের মতো মনে হতো। তিনি আরও বলেন, “আমি সবসময় শুনতাম, বিলি তো একটি ছেলের নাম।” তিনি ভায়োলেট বা ল্যাভেন্ডারের মতো মেয়েলি নামের স্বপ্ন দেখতেন।
ইদ্রিস এলবার করা এক প্রশ্নের উত্তরে বিলি বলেন, “আমি সত্যিই আমার নামের কারণে বিরক্ত হতাম। আমি চেয়েছিলাম সুন্দর, ফুলের মতো কোনো নাম হোক।” তবে সময়ের সাথে সাথে, এই গায়িকার ধারণা সম্পূর্ণভাবে বদলে গেছে।
বর্তমানে তিনি তার নামের প্রতি ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। বিলি এখন তার নামের সঙ্গেই নিজেকে খুঁজে পান। তার মতে, “আমার নামের চেয়ে উপযুক্ত আর কিছুই হতে পারে না।”
সাক্ষাৎকারে বিলি আইলিশ জানান, তার দাদার নাম ছিল উইলিয়াম, এবং তিনি প্রথম নারী বিলি হিসেবে “ডক্টর হু” তারকা বিলি পাইপারের কথা জানেন।
সাক্ষাৎকারে বিলি আইলিশ নিজের সৌন্দর্য এবং জনসাধারণের চোখে নিজের অবস্থান নিয়েও কথা বলেছেন। নিকি মিনাজের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি আসলে কখনো নিজেকে সুন্দর মনে করিনি। নারী হওয়া কঠিন।” তিনি আরও জানান, কীভাবে নিজেকে সুন্দর ভাবতে শিখেছেন।
এছাড়াও, ফ্যাশন এবং খাদ্যাভ্যাস নিয়েও কথা বলেছেন বিলি। তিনি জানান, পরিবারের সদস্যরা নিরামিষাশী হওয়ার বেশ কয়েক বছর পর তিনি এই জীবনযাত্রা গ্রহণ করেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, প্রাণীজ খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার ভয়াবহতা সম্পর্কে জানার পরেই তিনি নিরামিষভোজী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তথ্যসূত্র: সিএনএন