বিখ্যাত জ্যাজ ড্রামার বিলি কোবহাম, যিনি ৮০ বছর বয়সেও সঙ্গীত জগতে সক্রিয়, তাঁর সঙ্গীত জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো।
পানামায় জন্ম নেওয়া এই কিংবদন্তি ড্রামার, যিনি একাধারে শিল্পী ও শিক্ষক হিসাবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত, এখনো সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসায় অবিচল।
বিলি কোবহামের সঙ্গীত জীবনের শুরুটা হয় পানামায়, কিন্তু শৈশবেই তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে চলে আসেন।
ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল এবং বাবার উৎসাহে মাত্র চার বছর বয়স থেকে ড্রাম বাজানো শুরু করেন।
পরবর্তীকালে, তিনি মাইকেল ডেভিসের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের সাথে কাজ করেছেন, যা তাঁর সঙ্গীত জীবনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
১৯৭০ সালে মাইলস ডেভিসের সাথে কাজ করার সুযোগ পান কোবহাম।
তাঁদের একসঙ্গে করা ‘জ্যাক জনসন’ অ্যালবামটি জ্যাজ-রক ঘরানার এক অসাধারণ উদাহরণ।
ডেভিসের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে কোবহাম জানান, ডেভিস সব সময় অন্যদের কথা শুনতেন এবং সেই অনুযায়ী সঙ্গীতে পরিবর্তন আনতেন।
তাঁর মতে, জ্যাজ মানেই নিখুঁততা নয়, বরং এটি একটি দলবদ্ধ প্রয়াস।
কোবহাম শুধু একজন ড্রামার হিসেবেই পরিচিত নন, বরং তিনি বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীত শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করেছেন।
তাঁর ড্রামিং-এর কৌশল রক, ফিউশন এবং অন্যান্য ধারার সঙ্গীতকে প্রভাবিত করেছে।
বিশেষ করে, তাঁর ‘স্পেকট্রাম’ অ্যালবামটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং এই অ্যালবামের গানগুলি ম্যাসিভ অ্যাটাকের মতো শিল্পীদেরও প্রভাবিত করেছে।
বর্তমানে, কোবহাম তাঁর ৮০ বছর বয়সেও সঙ্গীত পরিবেশনা করে চলেছেন।
সম্প্রতি তিনি জ্যাজ এফএম অ্যাওয়ার্ডে আজীবন সম্মাননা লাভ করেছেন।
সঙ্গীত জগতে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।
তিনি এখনো তরুণ শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে এবং নতুন কিছু সৃষ্টি করতে আগ্রহী।
তাঁর মতে, সঙ্গীত হলো একটি ভাগাভাগির বিষয় এবং তিনি সবসময় নতুন কিছু শিখতে চান।
আগামী দিনে, কোবহাম চেলটেনহ্যাম জ্যাজ ফেস্টিভাল এবং লন্ডনের রনি স্কট’স-এ তাঁর পরিবেশনা নিয়ে হাজির হবেন।
তাঁর এই দীর্ঘ সঙ্গীত যাত্রা তরুণ প্রজন্মের জন্য এক বিরাট অনুপ্রেরণা।
তিনি প্রমাণ করেছেন, বয়স শুধু একটি সংখ্যা এবং সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা থাকলে, যেকোনো বয়সেই নতুন কিছু করা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান