মা’র বিয়ের পোশাকে কনের চমক! বিয়ের আসরে কান্নার রোল

বর ও কনে পক্ষের আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হচ্ছিলো। কনে, র‍্যাচেল ওউস, তার মায়ের জন্য এক দারুণ চমক রেখেছিলেন। তিনি তার মায়ের, ক্রিস্টিন ফিনির, ২৯ বছর আগের, ১৯৯৬ সালের বিয়ের পোশাক পরে বিয়ের মণ্ডপে প্রবেশ করেন।

মেয়ের এমন অপ্রত্যাশিত রূপে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মা।

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের কাসোটা এলাকার একটি খামারে, ৩১শে মে এই মনোমুগ্ধকর বিয়ের আয়োজন করা হয়। র‍্যাচেলের পরিকল্পনা ছিল সম্পূর্ণ গোপন। বিয়ের দিন সকালে ছবি তোলার জন্য অন্য একটি পোশাক পরেছিলেন তিনি, যাতে সবাই আসল বিষয়টি টের না পায়।

শুধুমাত্র বিয়ের পরিকল্পনাকারী এবং কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছাড়া আর কেউই জানত না যে র‍্যাচেল তার মায়ের বিয়ের পোশাক পরবেন।

কনের মা ক্রিস্টিন ফিনি, মেয়ের এই সিদ্ধান্তে এতটাই অবাক হয়েছিলেন যে তার চোখে জল এসে গিয়েছিল। র‍্যাচেলের বাবাও মেয়ের এমন রূপে মুগ্ধ হয়েছিলেন।

বিয়ের কনে র‍্যাচেলের ভাষায়, “বাবা আমাকে বলেছিলেন, ‘আরে, এটা তো তোমার মায়ের পোশাক, তাই না?’ ”

আসল ঘটনা হলো, র‍্যাচেলের বিয়ে ঠিক হওয়ার পর ক্রিস্টিন তার মেয়ের হাতে বিয়ের পোশাকটি তুলে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইচ্ছে হলে র‍্যাচেল পোশাকটি অন্য কোনো অনুষ্ঠানে পরতে পারে অথবা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারে।

কিন্তু র‍্যাচেল যে বিয়ের দিন মায়ের বিয়ের পোশাক পরবেন, তা তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। র‍্যাচেলের খালা প্রায় তিন দশক আগে তার মায়ের জন্য এই পোশাকটি তৈরি করেছিলেন।

বিয়ের জন্য পোশাকটি সামান্য পরিবর্তন করা হয়, যা র‍্যাচেলের গড়নে একদম মানানসই ছিল।

বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই এই দৃশ্য দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কনে র‍্যাচেল জানান, তিনি চেয়েছিলেন বিয়ের পুরোটা সময় এই পোশাকেই থাকতে, কারণ এটি পরতে তার খুবই আরাম লাগছিল।

বিয়ের এই সুন্দর মুহূর্তগুলো সম্প্রতি টিকটকে আপলোড করা হয়, যা এরই মধ্যে লক্ষাধিক মানুষের মন জয় করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই তাদের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন।

একজন মন্তব্য করেছেন, “মেয়েটি যে পোশাকে তার স্বামীর দিকে হেঁটে আসছিল, সেই একই পোশাকে আজ সে তার মেয়ের হাত ধরে স্বামীর কাছে পৌঁছে দিয়েছে।” অন্য একজন লিখেছেন, “এমন সুন্দর দৃশ্য আমি আগে কখনো দেখিনি!”

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *