ঐতিহাসিক ব্ল্যাক ডাইক ব্যান্ড: সঙ্গীত আর ঐতিহ্যের এক অসাধারণ যাত্রা!

শিরোনাম: ব্রিটেনের ঐতিহ্যবাহী ব্ল্যাক ডাইক ব্রাস ব্যান্ড: সুরের মূর্ছনায় এক শতাব্দীর গল্প

শতবর্ষী প্রাচীন এক সঙ্গীত দল, যাদের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। ব্রিটেনের ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের কুইন্সবারির ব্ল্যাক ডাইক ব্রাস ব্যান্ড (Black Dyke Brass Band)।

১৮৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ব্যান্ড, বাদ্যযন্ত্রের সুরের মূর্ছনায় আজও মাতিয়ে রেখেছে শ্রোতাদের মন। সম্প্রতি ব্র্যাডফোর্ড ইউকে সিটি অফ কালচার ২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে তাদের বিশেষ পরিবেশনা দর্শকদের মন জয় করেছে।

ব্ল্যাক ডাইক ব্রাস ব্যান্ডের যাত্রা শুরু হয়েছিল মূলত ব্ল্যাক ডাইক মিলের শ্রমিকদের হাত ধরে।

সেই সময় শ্রমিকদের অবসর বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিল এই ব্যান্ড। সময়ের সাথে সাথে, তারা শুধু স্থানীয় গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছে।

তাদের অসাধারণ সঙ্গীত পরিবেশনা মুগ্ধ করেছে বিশ্ববাসীকে। এই ব্যান্ডের খ্যাতি এতটাই যে, বিশ্বখ্যাত ব্যান্ড ‘দ্য বিটলস’-এর ‘ইয়েলো সাবমেরিন’ গানেও তাদের বাদন শোনা যায়।

শুধু তাই নয়, অস্কার এবং গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্যেও তারা মনোনীত হয়েছে।

ব্যান্ডের বর্তমান পরিচালক, নিক চাইল্ডস-এর মতে, ব্ল্যাক ডাইক ব্যান্ড শুধু একটি সঙ্গীত দল নয়, এটি একটি পরিবার।

এখানে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষজন বাদ্যযন্ত্রের সাথে নিজেদের জড়িয়ে রেখেছে। ব্যান্ডের সদস্যরা তাদের পেশাগত জীবনের পাশাপাশি সঙ্গীতচর্চাকেও সমান গুরুত্ব দেন।

কেউ শিক্ষক, কেউ বা আবার সাধারণ কর্মী, কিন্তু সঙ্গীতের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও নিষ্ঠা তাদের এক করেছে। এখানকার শিল্পীরা নিয়মিত মহড়া করেন, তাদের নিপুণতা প্রমাণ করে দেয় যে তারা কতটা নিবেদিত।

ব্ল্যাক ডাইক ব্রাস ব্যান্ড শুধু একটি সঙ্গীত দল নয়, বরং এটি একটি জীবন্ত ইতিহাস।

তাদের পরিবেশনা আজও মানুষের মনে আনন্দ যোগায়। এই ব্যান্ডের গল্প, কঠিন পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তারা প্রমাণ করেছে, সঙ্গীতের কোনো বয়স নেই, কোনো সীমানা নেই।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *