ব্ল্যাক মিরর: নতুন সিজনে মানবিকতার ছোঁয়া!

ব্ল্যাক মিরর: সপ্তম সিজনে মানবিক গল্পের সাথে ফিরে আসা।

ব্ল্যাক মিরর (Black Mirror) একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ভিত্তিক সিরিজ, যা ডিজিটাল যুগের জটিলতা এবং প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে আসে। নেটফ্লিক্সে (Netflix) প্রচারিত এই সিরিজের সপ্তম সিজন সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে, যেখানে দর্শক নতুন কিছু গল্প এবং অভিজ্ঞতার সাক্ষী হবেন। প্রযুক্তি, মানবিক সম্পর্ক এবং সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে আসা এই সিরিজটি বাংলাদেশের দর্শকদের মাঝেও বেশ পরিচিত।

নতুন সিজনে, ব্ল্যাক মিরর-এর নির্মাতারা গল্প বলার ধরনে কিছু পরিবর্তন এনেছেন। আগের সিজনগুলোর তুলনায় এবার মানবিক অনুভূতির উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, সিরিজের এই পরিবর্তন এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

আসুন, সপ্তম সিজনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পর্ব নিয়ে আলোচনা করা যাক:

  • ‘কমন পিপল’ (Common People): এই পর্বে, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবার জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে। গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে একটি দম্পতি, যাদের ভালোবাসার থেকে বেশি অর্থকষ্ট রয়েছে। স্ত্রীর ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের খরচ বহন করতে গিয়ে তাদের জীবনে যে সংকট তৈরি হয়, তা-ই এখানে প্রধান বিষয়।
  • ‘হোটেল রেভারি’ (Hotel Reverie): এই পর্বে, সিনেমার অভিনেতা ইসা রায়ের (Issa Rae) একটি এআই (AI) সিমুলেশনে প্রবেশ করার গল্প দেখানো হয়েছে। পুরনো দিনের একটি সাদা-কালো প্রেমের গল্পের আদলে তৈরি এই সিমুলেশনটি দর্শকদের কল্পনার জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
  • ‘ইউলোজি’ (Eulogy): পুরনো ছবি এবং স্মৃতির মাধ্যমে ভালোবাসার গল্প বলার এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত এই পর্ব। এখানে একজন মানুষ তার অতীতের স্মৃতিগুলো পুনরায় ফিরে পান এবং হারানো ভালোবাসাকে অনুভব করেন।
  • ‘বেতে নোয়ার’ (Bête Noire): কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতার লড়াই এবং সন্দেহ প্রবণতা নিয়ে তৈরি একটি আকর্ষণীয় পর্ব এটি। এখানে মারিয়া নামের একজন কর্মীর সন্দেহ হয় যে নতুন কর্মী ভেরিতি (Verity) একজন বিপদজনক ব্যক্তি।
  • ‘প্লেথিং’ (Plaything): এই পর্বটি একটি ক্রাইম ড্রামা, যেখানে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অপরাধ সমাধানের চেষ্টা করা হয়। পিটার ক্যাপাল্ডি (Peter Capaldi) অভিনীত এই পর্বটি দর্শকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

সপ্তম সিজনে ব্ল্যাক মিরর-এর গল্প বলার ধরন এবং বিষয়বস্তুতে পরিবর্তন এসেছে, যা দর্শকদের জন্য নতুন কিছু নিয়ে এসেছে। কিছু পর্ব দুর্বল হলেও, সামগ্রিকভাবে এটি একটি উপভোগ্য সিরিজ। যারা প্রযুক্তি, বিজ্ঞান এবং মানবিক সম্পর্ক নিয়ে গল্প দেখতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য ব্ল্যাক মিরর-এর এই নতুন সিজন একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

তথ্যসূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *