বিশ্ব অর্থনীতির অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে, প্রভাবশালী একটি ওয়াল স্ট্রিট ব্যক্তিত্ব রাজনৈতিক বিষয়গুলো এড়িয়ে চলছেন।
ব্ল্যাকরকের প্রধান নির্বাহী ল্যারি ফিংক-এর বার্ষিক চিঠি এখন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এই কোম্পানির অধীনে রয়েছে বিশাল পরিমাণ সম্পদ, যা বাজারের গতিপথকে প্রভাবিত করে।
এবার সেই চিঠিতে অনেক কিছুই অনুপস্থিত ছিল, যা বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
ব্ল্যাকরক বিশ্বের বৃহত্তম সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি, যার অধীনে রয়েছে প্রায় ১১.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২৮,০০,০০০ কোটি টাকার সমান)।
ফিংকের এই চিঠি সাধারণত বাজারের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা দেয় এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
কিন্তু এবারকার চিঠিতে রাজনৈতিক বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, শুল্ক বা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়নি।
চিঠিতে ‘ইএসজি’ (পরিবেশগত, সামাজিক ও সুশাসন) এবং ‘ডিইআই’ (বৈচিত্র্য, সাম্য ও অন্তর্ভুক্তি) এর মতো শব্দগুলোও বাদ দেওয়া হয়েছে।
এর পরিবর্তে, ব্যক্তিগত পুঁজি বাজার, অবসর সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের গণতন্ত্রায়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এর কারণ হলো ডানপন্থী রাজনৈতিক চাপ এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপ থেকে নিজেদের বাঁচানো।
বর্তমানে ব্ল্যাকরক পানামা খাল এর দুটি বন্দর অধিগ্রহণের চেষ্টা করছে।
এই চুক্তিটি সম্পন্ন হলে তা কিছুটা হলেও ট্রাম্পের একটি প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করবে।
এছাড়া, বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনছে।
মেটা, অ্যামাজন, ম্যাকডোনাল্ডস এবং গোল্ডম্যান স্যাকস-এর মতো কোম্পানিগুলো ডিইআই বিষয়ক তাদের কার্যক্রম সংকুচিত করেছে।
কারণ, ট্রাম্প প্রশাসন ডিইআই নীতিমালার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ল্যারি ফিংকের এই পদক্ষেপ অন্যান্য কোম্পানিগুলোর জন্য একটি বার্তা।
এখনকার পরিস্থিতিতে, ব্যবসায়িক নেতারা বিতর্কিত বিষয়গুলো এড়িয়ে চলছেন এবং আর্থিক বিষয়গুলোর উপর বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।
এই পরিবর্তনের ফলে বিশ্ব বাজারে বিনিয়োগের ধরন এবং কর্পোরেট কৌশলগুলোতে পরিবর্তন আসতে পারে।
এই খবরটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন