ব্লেক লাইভলি বনাম জাস্টিন বাল্ডোনি: লড়াই এখনো শেষ হয়নি!

শিরোনাম: ব্লেক লাইভলি ও জাস্টিন বালডোনির আইনি লড়াই: অভিযোগ খারিজ হলেও থামছে না লড়াই

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি এবং অভিনেতা ও পরিচালক জাস্টিন বালডোনির মধ্যে চলমান আইনি লড়াই এখনও শেষ হয়নি। সম্প্রতি, বালডোনির দায়ের করা মানহানির মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত, কিন্তু লাইভলি জানিয়েছেন, তিনি বালডোনির বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ থেকে সরছেন না।

অন্যদিকে বালডোনির পক্ষ থেকেও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, ব্লেক লাইভলি একটি দেওয়ানি অধিকার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ছিল, ‘ইট এন্ডস উইথ আস’ (It Ends With Us) সিনেমার শুটিংয়ের সময় বালডোনির দ্বারা তিনি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।

এরপর, এ বিষয়ে মুখ খোলায় তাকে হেনস্থা করা হয়।

এর প্রতিক্রিয়ায়, বালডোনির তরফে লাইভলি ও তার স্বামী, অভিনেতা রায়ান রেনল্ডস-এর বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানির মামলা করা হয়। বালডোনি দাবি করেন, খ্যাতিমান এই দম্পতি তার সম্মানহানি করতে চেয়েছেন এবং তার ক্যারিয়ার ধ্বংসের চেষ্টা করছেন।

বালডোনি একইসঙ্গে, লাইভলির অভিযোগ প্রথম প্রকাশ করার জন্য ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর বিরুদ্ধেও মামলা করেন। তার অভিযোগ ছিল, সংবাদমাধ্যমটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করেছে।

মামলার শুনানিতে, আদালত লাইভলি, রেনল্ডস, তাদের জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর করা আবেদন মঞ্জুর করেন, যার ফলস্বরূপ বালডোনির করা মানহানির মামলা খারিজ হয়ে যায়।

লাইভলির আইনজীবী মাইকেল গটলিব এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই রায়ে লাইভলি ‘খুবই সন্তুষ্ট’। তিনি আরও জানান, “মিসেস লাইভলি তার অভিযোগগুলো প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর এবং এর জন্য তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।

অন্যদিকে, বালডোনির আইনজীবী ব্রায়ান ফ্রিডম্যান জানিয়েছেন, আদালত বালডোনিকে লাইভলির বিরুদ্ধে আনা সাতটি অভিযোগের মধ্যে চারটি সংশোধনের সুযোগ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, “এই মামলায় যৌন হয়রানি ও প্রতিশোধের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাব।

আদালতের রায়ে, বালডোনি চাইলে রেনল্ডস ও লাইভলির বিরুদ্ধে চুক্তিতে হস্তক্ষেপ এবং লাইভলির বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ আনতে পারবেন।

তবে, আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মানহানির মূল অভিযোগগুলো এখন মামলার বাইরে।

এই আইনি লড়াইয়ের সূত্রপাত হয় যখন লাইভলি, বালডোনির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন।

এরপর, বালডোনি পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে লাইভলি ও রেনল্ডসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।

এই মামলায় তাদের জনসংযোগ কর্মকর্তাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বর্তমানে, এই মামলার ভবিষ্যৎ কী হবে, সে বিষয়ে সকলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *