হলিউডের আলো ঝলমলে দুনিয়ায়, এবার আইনি লড়াইয়ের ঢেউ লেগেছে। অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি, অভিনেতা ও পরিচালক জাস্টিন বাল্ডোনি এবং জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী টেইলর সুইফটের মধ্যে চলছে এই লড়াই।
সিনেমার জগৎকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া এই বিতর্কের মূল বিষয়বস্তু হল, আসন্ন সিনেমা ‘ইট এন্ডস উইথ আস’ (It Ends With Us)।
জানা গেছে, ব্লেক লাইভলি চেয়েছিলে জাস্টিন বাল্ডোনির আইনজীবীরা যেন টেইলর সুইফটের সঙ্গে হওয়া তাঁর ব্যক্তিগত কথোপকথন জানতে না পারেন। কিন্তু আদালতের রায়ে সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেছে।
বিচারক জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করতে হবে।
বিষয়টি আসলে কী? ‘ইট এন্ডস উইথ আস’ ছবিতে অভিনয় করেছেন ব্লেক লাইভলি। অন্যদিকে, জাস্টিন বাল্ডোনি এই সিনেমার পরিচালক।
শোনা যাচ্ছে, ছবির শুটিংয়ের সময় কর্মপরিবেশ নিয়ে কিছু অভিযোগ উঠেছিল। সেই সূত্রে, ব্লেক লাইভলির সঙ্গে টেইলর সুইফটের কথোপকথন জানতে চান বাল্ডোনির আইনজীবীরা।
যদিও সুইফট এই ছবিতে সরাসরি জড়িত ছিলেন না, তবে সিনেমার সাউন্ডট্র্যাকের জন্য তাঁর ‘মাই টিয়ার্স রিকোশেট’ গানটি ব্যবহার করা হয়েছে।
আদালতে জমা দেওয়া নথিতে জানা যায়, ব্লেক লাইভলির আইনজীবী আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, বাল্ডোনির দল যেন সুইফটের সঙ্গে হওয়া তাঁর ব্যক্তিগত আলোচনা জানতে না পারে।
তাঁদের যুক্তি ছিল, এই তথ্য সিনেমার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। কিন্তু বিচারক সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
বিচারকের মতে, মামলার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এই ধরনের তথ্য প্রয়োজন।
এর আগে, জাস্টিন বাল্ডোনি ব্লেক লাইভলি, তাঁর স্বামী রায়ান রেনল্ডস, তাঁদের জনসংযোগ ব্যবস্থাপক লেসলি স্লোন এবং ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেছিলেন।
তবে সেই মামলাও খারিজ হয়ে গেছে। ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর একটি প্রতিবেদনে বাল্ডোনির বিরুদ্ধে ব্লেক লাইভলির সম্মানহানির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এই মামলার সূত্র ধরে, ব্লেক লাইভলির আইনজীবীর অভিযোগ, জাস্টিন বাল্ডোনির দল টেইলর সুইফটের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে তাঁদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা করছেন।
তাঁরা চাইছেন, সুইফটের সঙ্গে হওয়া কথোপকথনের মাধ্যমে একটি ‘পাবলিক রিলেশনস ন্যারেটিভ’ তৈরি করতে, যা আদালতের বাইরে তাঁদের পক্ষে সুবিধা নিয়ে আসবে।
তবে ব্লেক লাইভলির আইনজীবীর দাবি, জাস্টিন বাল্ডোনি আসলে বিষয়টিকে অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছেন। তাঁদের অভিযোগ, বাল্ডোনির বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্তার অভিযোগ থেকে মনোযোগ সরানোর জন্যই এইসব করা হচ্ছে।
এই মামলার জল কতদূর গড়ায়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: পিপল
