ব্ল্যাক শেলটন, যিনি “দ্য ভয়েস”-এর মঞ্চে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন এবং গায়ক হিসেবেও জনপ্রিয়, তাঁর ১৩তম স্টুডিও অ্যালবাম নিয়ে ফিরে এসেছেন। অ্যালবামের নাম ‘ফর রিক্রিয়েশনাল ইউজ অনলি’। এই অ্যালবামটি যেন পুরনো দিনের কাউন্ট্রি সঙ্গীতে ফেরার একটি প্রয়াস।
গায়ক হিসেবে ব্ল্যাক শেলটনের বর্তমান অবস্থান এবং তাঁর সঙ্গীত জীবনের গতিপথ—এই দুইয়েরই যেন প্রতিচ্ছবি এই অ্যালবাম।
অ্যালবামের শুরুতেই “স্টে কান্ট্রি অর ডাই ট্রাইয়িং” গানটি যেন একটি ঘোষণা। শেলটনের ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে, যখন তিনি হলিউডে পরিচিত মুখ, পপ তারকা স্ত্রী গ্বেন স্টেফানির সঙ্গে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করছেন, তখন তাঁর এই অ্যালবামটি পুরনো দিনে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
অ্যালবামটি কান্ট্রি সঙ্গীতের চিরাচরিত ধারাকে ধরে রেখেছে। গানের কথায় গ্রাম-বাংলার জীবনযাত্রা, সেখানকার মানুষের আবেগ, সম্পর্ক এবং ভালোবাসার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।
“ফর রিক্রিয়েশনাল ইউজ অনলি” অ্যালবামটিতে শেলটনের পুরনো দিনের স্মৃতিচারণা, পরিচিত বার এবং ব্যাকরোডের জীবন—এসবের প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়। “কোল্ড ক্যান” গানটিতে বারের গল্প এবং “লাইফ’স বিন কামিং টু ফাস্ট” গানে জীবনের দ্রুত পরিবর্তন নিয়ে কথা বলা হয়েছে।
“দ্য কিস” গানে অতীতের স্মৃতি এবং “ডোন্ট মিসিসিপি” গানে হুইস্কির প্রতি ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে।
“টেক্সাস” গানটিতে জর্জ স্ট্রেট-এর “অল মাই এক্স’স লিভ ইন টেক্সাস” গানটির উল্লেখ রয়েছে, যা শ্রোতাদের আনন্দ দেয়। এছাড়া, “লেট হিম ইন এনিওয়ে” গানটি ঈশ্বর এবং শোকের গভীরতা নিয়ে তৈরি হয়েছে।
অ্যালবামে কয়েকজন শিল্পী শেলটনের সঙ্গে কাজ করেছেন। গ্বেন স্টেফানির সঙ্গে “হ্যাঙ্গিং অন” গানটিতে তাঁরা একসঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন। এছাড়া, ক্রেইগ মরগানের সঙ্গে “হ্যাভেন সুইট হোম” এবং জশ অ্যান্ডারসনের সঙ্গে “ইয়ার্স” গানগুলোও শ্রোতাদের মন জয় করেছে।
ব্ল্যাক শেলটনের ব্যক্তিগত জীবন হয়তো তাঁর গানের চরিত্রগুলোর থেকে আলাদা, তবে এই অ্যালবামটি প্রমাণ করে, তিনি এখনো বিশাল জনপ্রিয়তার অধিকারী একজন শিল্পী এবং কান্ট্রি সঙ্গীতের জগতে তাঁর প্রভাব আজও অটুট।
রেডিওতে গানগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস