কুকুর হারানোর পর, ভাইয়ের সঙ্গেই নতুন জীবন!

দৃষ্টিহীন মার্কিন সেনা অভিজ্ঞের জীবনে নতুন আলো, ব্রুনোর শোক কাটিয়ে এলো তারই ভাই।

কিছুদিন আগে, এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিজের সহায়ক সারমেয়কে হারান দৃষ্টিহীন মার্কিন সেনা অভিজ্ঞ কারি পোর্টার। জর্জিয়ার একটি মহাসড়কের পাশে তার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয় ব্রুনোর মৃত্যু হয়।

কিন্তু শোকের সেই গভীরতা থেকে মুক্তি মিলেছে, কারণ এবার তার জীবনে এসেছে নতুন বন্ধু, ব্রুনোরই আপন ভাই।

জানা যায়, কারি পোর্টার, যিনি দৃষ্টিহীনতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা—পিটিএসডি-তে (পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার) ভুগছেন, তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল ব্রুনো। বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এই কুকুরটি পোর্টারের দৈনন্দিন জীবনে সহায়ক হিসেবে কাজ করত।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় ব্রুনোর মৃত্যু হয়।

ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পরেই, ‘টপ ডগ কাইন ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংস্থা এগিয়ে আসে কারির সহায়তায়। এই সংস্থাটি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর সরবরাহ করে থাকে।

ব্রুনোর মৃত্যুর পর, তারা কারিকে সাহায্য করার জন্য তহবিল সংগ্রহ শুরু করে এবং অবশেষে ব্রুনোর ভাই, হেইডেন নামের একটি কুকুরকে কারির কাছে পৌঁছে দেয়।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটলান্টা ভিত্তিক একটি আইনি সংস্থা, ‘মন্টলিক ইনজুরি অ্যাটর্নিজ’ এই কাজে ১৫,০০০ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে। এই অনুদানের মাধ্যমেই হেইডেনকে কারির কাছে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।

কারির ভাষ্যে, ব্রুনো তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। এমনকি, ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স (ভিএ) ফ্যাসিলিটিগুলোতে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণ সেনাদের জন্য হাসপাতাল/স্বাস্থ্য কেন্দ্র) যাওয়াটাও তার জন্য সহজ করে তুলেছিল ব্রুনো।

বর্তমানে, হেইডেনও তার সেই কাজটিই করবে।

টপ ডগ কাইন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ব্লেক র্যাশাদ জানিয়েছেন, “একজন অভিজ্ঞের জীবনে একটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের গুরুত্ব কতখানি, তা আমরা বুঝি। ব্রুনোর শোকের পর কারিকে নতুন সঙ্গী খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ।”

এই ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, কারণ এটি একদিকে যেমন একজন অভিজ্ঞের দুঃখের কাহিনী, তেমনি অন্যদিকে সমাজের ভালোবাসার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মানুষ হিসেবে, আমাদের সহানুভূতি এবং অন্যের প্রতি সাহায্যের মনোভাব—এই গল্পের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *