বিখ্যাত ‘কাউবয় কার্টার’ সফরে ব্লু আইভির চমক! মা-কে টেক্কা?

বিশ্ব মঞ্চে আলো ছড়াচ্ছে বিয়ন্সের কন্যা, ব্লু আইভি: এক উদীয়মান নক্ষত্রের গল্প।

বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী বিয়ন্সের কনসার্টে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে তার ১৩ বছর বয়সী কন্যা ব্লু আইভি কার্টার। মা বিয়ন্সের ‘কাউবয় কার্টার’ ট্যুরে ব্লু’র উপস্থিতি যেন নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

দর্শকদের মাঝে এখন একটাই প্রশ্ন, ‘কারা এখানে এসেছে?’ আর তার উত্তরে অনেকের মুখেই শোনা যায় ব্লু আইভির নাম।

ব্লু আইভি, যিনি এরই মধ্যে গ্র্যামি জয় করেছেন, মায়ের সঙ্গে মঞ্চে আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়। তার নাচের ধরন ও মঞ্চে সাবলীল উপস্থিতি মুগ্ধ করেছে ভক্তদের।

অনেকেই ব্লুকে ‘মিনি বিয়ন্সে’ বলতে শুরু করেছেন, তবে অনেকের মতে ব্লু’র নিজস্ব একটা স্বতন্ত্রতা রয়েছে, যা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে।

এই সফরে ব্লু আইভি’র পোশাক থেকে শুরু করে তার নাচের প্রতিটি পদক্ষেপ যেন দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। ২০১৬ সালের ‘দেজা ভু’ গানের সঙ্গে মায়ের নাচের স্টেপগুলো অনুসরণ করে সে প্রমাণ করেছে, মা ও মেয়ের মধ্যে নাচের প্রতিভার এক দারুণ মিল রয়েছে।

শুধু তাই নয়, ব্লু আইভি’র আত্মবিশ্বাসও যেন দিন দিন বাড়ছে। একবার নিউ জার্সির একটি কনসার্টে বৃষ্টির কারণে মঞ্চ ভিজে গেলে, ব্লু নিজেই সেখানে কাপড় দিয়ে জায়গাটা শুকনো করে নিয়েছিল।

এছাড়াও, শিকাগোর একটি অনুষ্ঠানে মায়ের চুলের সঙ্গে তার কানের দুল আটকে গেলে, শান্তভাবে সেটি খুলে সে বুঝিয়ে দেয় সব ঠিক আছে। এই ঘটনাগুলো ব্লু’র পেশাদারিত্বের প্রমাণ দেয়।

ব্লু আইভি’র এই উত্থান শুধু তার কঠোর পরিশ্রমের ফল নয়, বরং বিয়ন্সের মাতৃত্বেরও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মা ও মেয়ের এই জুটি বিশ্বজুড়ে দর্শকদের মন জয় করেছে।

অনেক মা তাদের মেয়েদের নিয়ে কনসার্টে আসছেন, কারণ তারা ব্লু আইভিকে তাদের প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন।

বিয়ন্সের ‘রেনেসাঁস’ সফরে ১১ বছর বয়সে ব্লু প্রথমবার মঞ্চে পারফর্ম করে। এরপর ‘বেয়ন্সে বাউল’ নামে পরিচিত এনএফএল ক্রিসমাস ডে হাফটাইম শো-তেও তার পরিবেশনা ছিল।

মা-মেয়ের এই যুগলবন্দী দর্শকদের মধ্যে গভীর ভালোবাসার জন্ম দিয়েছে।

ব্লু আইভির ভবিষ্যৎ কী, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা না গেলেও, এটা স্পষ্ট যে তার সামনে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। মা বিয়ন্সের মতোই, ব্লুও যেন তার স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারে, সেই প্রত্যাশা সবার।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *