মহাকাশ ভ্রমণে নারীদের জয়জয়কার, ব্লু অরিজিনের ফ্লাইটে কেটি পেরি, গেইল কিং ও আরও অনেকে।
মহাকাশ ভ্রমণের জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে, জেফ বেজোসের কোম্পানি ব্লু অরিজিন সম্প্রতি এক বিশেষ অভিযান সম্পন্ন করেছে। এই মিশনে ছিলেন জেফ বেজোসের বাগদত্তা লরেন সানচেজ এবং আরও কয়েকজন খ্যাতনামা নারী।
এদের মধ্যে অন্যতম হলেন জনপ্রিয় গায়িকা কেটি পেরি এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব গেইল কিং।
এই অভিযানের মূল আকর্ষণ ছিল, নভোযাত্রীদের সবাই ছিলেন নারী। এর আগে ১৯৬৩ সালে সোভিয়েত নভোচারী ভ্যালেন্টিনা তেরেস্কোভা একাই মহাকাশে গিয়েছিলেন।
এবার যেন নারীদের ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো। এই মিশনে আরও ছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক কেরিয়ানে ফ্লিন, প্রাক্তন নাসা প্রকৌশলী এবং বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে কাজ করা আয়েশা বোয়ে, এবং অন্যান্য নারী।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে একটি নিউ শেপার্ড রকেটে করে এই দল মহাকাশে পাড়ি জমায়। প্রায় ১০ মিনিটের এই সংক্ষিপ্ত সফরে তারা পৃথিবীর আকর্ষণীয় দৃশ্য উপভোগ করেন এবং কিছুক্ষণের জন্য ওজনহীনতার অভিজ্ঞতা লাভ করেন।
কেটি পেরি এই সময়ে “হোয়াট এ ওয়ান্ডারফুল ওয়ার্ল্ড” গানটি গেয়ে শোনান, যা মহাকাশ থেকে পৃথিবীর মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের প্রতি উৎসর্গীকৃত ছিল।
ব্লু অরিজিন জানিয়েছে, এই ফ্লাইটের খরচ সম্পর্কে তারা কোনো তথ্য প্রকাশ করবে না।
তবে, মহাকাশ ভ্রমণের এই নতুন যুগে, যেখানে ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রায়ই যান, সেখানে এই ধরনের অভিযান সাধারণ মানুষের কাছেও স্বপ্ন পূরণের সুযোগ সৃষ্টি করছে।
মহাকাশ পর্যটনের ধারণাটি এখন আর কেবল পেশাদার নভোচারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিভিন্ন কোম্পানি, যেমন স্পেসএক্স এবং রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা, এই খাতে বিনিয়োগ করছে এবং সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ তৈরি করছে।
স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কও এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
ব্লু অরিজিনের এই উদ্যোগ নারীদের জন্য একটি বিশেষ মাইলফলক। লরেন সানচেজ বলেন, এই মিশনে নারীদের অংশগ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বৃহত্তর স্বপ্ন জাগানো।
এই অভিযান প্রমাণ করে যে, মহাকাশ জয়ের স্বপ্ন এখন সকলের জন্য উন্মুক্ত।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস