ইউরোপা লিগের ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিরুদ্ধে জয় পেলেও, নরওয়ের ক্লাব বোডো/গ্লিম্টের লড়াই এখনো ফুরোয়নি। লন্ডনের টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগে, অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল বোডো/গ্লিম্টকে ২-১ গোলে হারায় টটেনহ্যাম।
তবে, খেলার শেষ মুহূর্তে গ্লিম্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ গোল তাদের দ্বিতীয় লেগে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছে।
ফুটবল বিশ্বে, বিশেষ করে ইউরোপে, আর্থিক দিক থেকে ক্লাবগুলোর মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকে। টটেনহ্যাম হটস্পার, যাদের খেলোয়াড় কেনার বাজেট অনেক বেশি, তারা বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্লাবগুলোর একটি।
অন্যদিকে, বোডো/গ্লিম্ট তুলনামূলকভাবে ছোট একটি ক্লাব, যাদের আর্থিক সংস্থান সীমিত। তারপরও, মাঠে তাদের লড়াইয়ের মানসিকতা এবং দলগত সংহতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ম্যাচের শুরুতেই, টটেনহ্যামের হয়ে গোল করেন ব্রেনান জনসন। খেলার ধারায় মনে হচ্ছিল, টটেনহ্যাম হয়তো বড় ব্যবধানে জয়লাভ করবে।
কিন্তু বোডো/গ্লিম্টের খেলোয়াড়েরা হাল ছাড়েননি। তাদের রক্ষণভাগকে পরাস্ত করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে টটেনহ্যামের আক্রমণভাগকে।
জেমস ম্যাডিসন, ক্রিস্তিয়ান রোমেরো এবং পেদ্রো পোরোর মতো খেলোয়াড়রা চেষ্টা চালিয়ে গেলেও, গ্লিম্টের জমাট রক্ষণ ভাঙতে কঠিন হয়ে পড়েছিল।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে, ডমিনিক সোলাঙ্কের একটি পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলে ব্যবধান আরও বাড়ায় টটেনহ্যাম।
তবে, খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে উলরিক সল্টনেসের গোলে ব্যবধান কমায় বোডো/গ্লিম্ট।
বোডো/গ্লিম্টের সমর্থকেরা, যারা সুদূর নরওয়ে থেকে খেলা দেখতে এসেছিলেন, তাদের মনোবল ছিল চোখে পড়ার মতো।
খেলা শেষে তারা তাদের প্রিয় গান ‘ভেনার’ (Venner) গেয়ে খেলোয়াড়দের উৎসাহ জুগিয়েছিলেন।
এই গানটি বন্ধুত্বের উদযাপন এবং দলের প্রতি তাদের ভালোবাসার প্রতীক।
দ্বিতীয় লেগে, বোডো/গ্লিম্ট তাদের নিজেদের মাঠ, আস্পোরা স্টেডিয়ামে খেলবে।
এই মাঠে খেলার পরিবেশ তাদের জন্য বেশ অনুকূল।
সেখানকার কৃত্রিম ঘাস প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে। তাই, দ্বিতীয় লেগে ভালো ফল করার ব্যাপারে তারা আশাবাদী।
টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া কঠিন হলেও, বোডো/গ্লিম্ট প্রমাণ করেছে যে, ফুটবল মাঠে শুধু অর্থই সব নয়, বরং দলগত প্রচেষ্টা এবং দৃঢ় মানসিকতাও সাফল্যের জন্য জরুরি।
এখন দেখার বিষয়, দ্বিতীয় লেগে তারা কেমন করে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান