আকাশপথে বিমানের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে, বোয়িং কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি নতুন মামলা দায়ের হয়েছে। গত জানুয়ারিতে আলাস্কা এয়ারলাইন্সের একটি ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমানে মাঝ আকাশে একটি প্যানেল খুলে যাওয়ার ঘটনায় চারজন বিমান সেবিকা শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
এই ক্ষতিপূরণের দাবিতেই তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, এই চার বিমান সেবিকা শারীরিক আঘাত, মানসিক যন্ত্রণা এবং অন্যান্য আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
তারা অতীত ও ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ চাইছেন। তাদের আইনজীবী জানিয়েছেন, ঘটনার সময় বিমান সেবিকারা সাহসিকতার সঙ্গে তাদের প্রশিক্ষণ অনুসরণ করে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জীবন বাজি রেখেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের কিং কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টে দায়ের করা এই মামলায় বোয়িং কোম্পানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিমানের উৎপাদন, বিক্রি ও মেরামতের ক্ষেত্রে অবহেলা এবং যথাযথ যত্ন না নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলাটিতে বলা হয়েছে, বোয়িং কর্তৃপক্ষ তাদের ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান ত্রুটি সম্পর্কে অবগত ছিল অথবা তাদের অবগত থাকা উচিত ছিল।
এই ঘটনার পর বোয়িং কোম্পানির ভাবমূর্তি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগও তাদের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে।
এর আগে, ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) এক বিবৃতিতে জানায়, বোয়িং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, দিকনির্দেশনা এবং তদারকি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া, নিরাপত্তা বোর্ডের পক্ষ থেকে বিমানের প্যানেলে চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্ক্রু লাগাতে ব্যর্থ হওয়ায় বোয়িংয়ের সমালোচনা করা হয়।
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)-এর দুর্বল তদারকির বিষয়টিও তারা তুলে ধরে।
আকাশ পথের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা সকল দেশের বিমান সংস্থাগুলোর জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। বাংলাদেশেও বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বোয়িংয়ের বিমান ব্যবহার করে।
তাই, যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমান সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ) উপযুক্ত তদারকি ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন