ব্রাজিলের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জাইর বলসোনারো এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
দেশটির সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এই বিষয়ে শুনানির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে, তাঁদের বিচার করা হবে কিনা।
খবর সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে পরাজিত হওয়ার পরেই ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে বলসোনারোর বিরুদ্ধে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বলসোনারো এবং তাঁর সহযোগীরা ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে নানা ধরনের চক্রান্ত করেন।
এর মধ্যে রয়েছে, লুলা দা সিলভাকে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে হত্যা এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অ্যালেক্সandre de Moraes-কে হত্যার পরিকল্পনা করা।
এই মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন বিচারপতি বৈঠকে বসবেন।
বিচারপতিদের মতামতের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে, অভিযুক্তদের বিচার শুরু হবে কিনা।
যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতি বিচারের পক্ষে রায় দেন, তাহলে বলসোনারো এবং তাঁর সহযোগীদের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে, বলসোনারো এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
শুধু অভ্যুত্থানের অভিযোগের জন্য সর্বোচ্চ ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
অন্যান্য অভিযোগগুলিও প্রমাণিত হলে, তাঁদের কয়েক দশক কারাবাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতিমধ্যে, বলসোনারো তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।
এই বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগে জনসমর্থন আদায়ের জন্য বলসোনারো বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এর অংশ হিসেবে, গত ১৬ই মার্চ রিও ডি জেনেইরোর কোপাকাবানা সৈকতে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এছাড়া, আগামী ৬ই এপ্রিল সাও পাওলোর একটি প্রধান সড়কে আরেকটি সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বলসোনারোর জনসমর্থন আগের চেয়ে কমে এসেছে।
উল্লেখ্য, ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে, সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকে।
তবে বলসোনারোকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস