বন্ধুত্বে ফাটল! নিজের টুথব্রাশ ব্যবহার করতে দেখে রেগে গেলেন তরুণী

বন্ধু বাসায় বেড়াতে আসা এক তরুণীর কাণ্ড!

সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন তরুণীর অভিজ্ঞতা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ঘটনাটি হলো, তিনি তার এক বন্ধুকে কয়েকদিনের জন্য নিজের বাড়িতে থাকতে দেন, কিন্তু এরপরে যা ঘটলো তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য।

২২ বছর বয়সী ওই তরুণী জানান, তার বন্ধু, যাকে তিনি “ক্লেয়ার” নামে ডাকেন, আগে থেকেই কিছুটা অন্যরকম। ক্লেয়ার প্রায়ই বলতেন, “আমি অন্য মেয়েদের মতো নই।

ওট মিল নিয়েও তার নিজস্ব কিছু মতামত ছিল। প্রথমদিকে সবকিছু ঠিকঠাক চললেও, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেয়।

ক্লেয়ার যখন তার বাড়িতে আসেন, তখন তার সঙ্গে ছিল কেবল একটি ছোট ব্যাগ, একটি গাছ ( ! ) এবং টুথব্রাশ ছিল না। এরপর তিনি সোজা তরুণীর সোফায় আরাম করে বসেন এবং জুতো খুলে ফেলেন। তরুণী বিষয়টি প্রথমে তেমন গুরুত্ব দেননি।

কিন্তু এরপর ক্লেয়ার তরুণীর ফ্রিজ খুলে জানতে চান, “তোমার কাছে আচার নেই? তুমি কেমন জীবন যাপন করো?”

এরপর তিনি তরুণীর মশলার র‍্যাক “অনুভূতি” অনুযায়ী সাজাতে শুরু করেন এবং বইগুলো রং অনুযায়ী আলাদা করেন। ক্লেয়ারের মতে, এটি “তার এনার্জির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ” ছিল, যদিও তরুণীর মনে হচ্ছিল যেন সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।

ঘটনার চূড়ান্ত পর্যায় আসে যখন রবিবার সকালে তরুণী রান্নাঘরে যান এবং দেখেন ক্লেয়ার তার টুথব্রাশ ব্যবহার করছেন।

“আমি যখন তাকে (প্রথমে শান্তভাবে) জিজ্ঞাসা করি, তখন সে হেসে উত্তর দেয়, ‘আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, আমি তো দিনে একবার দাঁত ব্রাশ করি, এটা এত গুরুতর কিছু নয়।”‘- তরুণী জানান।

তখনই তার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায়। তিনি সরাসরি ক্লেয়ারকে বলেন, “তুমি ‘অন্যরকম’ নও, বরং তুমি একজন খারাপ অতিথি, যার সীমারেখা সম্পর্কে ধারণা নেই।”

কথাটি শুনে ক্লেয়ার যেন আকাশ থেকে পড়লেন। তিনি দ্রুত জিনিসপত্র গুছিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান। পরে তিনি বন্ধুদের কাছে তরুণীকে “আগ্রাসী” এবং “অস্বাভাবিক” বলে মন্তব্য করেন।

ঘটনার পর, ওই তরুণী অনলাইনে একটি জনপ্রিয় ফোরামে (Reddit) তার প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানতে চান, তার আচরণ কি খুব বেশি কঠোর ছিল?

এই বিষয়ে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। তাদের মধ্যে একজন পরামর্শ দেন, “তোমার বন্ধুদের বলতে পারো, ক্লেয়ারের টুথব্রাশ ব্যবহারের বিষয়ে তুমি ‘অস্বাভাবিকভাবে’ উদ্বিগ্ন ছিলে।

তরুণী মজা করে উত্তর দেন, “ঠিক বলেছ! আমার তো বলা উচিত ছিল, ‘হ্যাঁ, মুখের জীবাণু এবং কোলগেট-এর মাধ্যমে ডিএনএ বিনিময় করতে না চাওয়ার বিষয়ে আমি একটু ‘অস্বাভাবিকভাবে’ উদ্বিগ্ন। আপনার অসুবিধার জন্য দুঃখিত।

পরিশেষে তিনি বলেন, “আসলে, কে অন্যের টুথব্রাশ দেখে ভাবে, ‘ঠিক আছে, এটাই ব্যবহার করি'”?

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *