বন্ধুত্বের গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন: জন্মদিনের সারপ্রাইজ দিতে বন্ধুর শরীরে নিজের নাম, এরপর কি ভাঙন?
সম্প্রতি, এক নারীর সঙ্গে তার সবচেয়ে কাছের বন্ধুর সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। কারণ, বন্ধুটি কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই ওই নারীর পুরো নাম নিজের হাতে ট্যাটু করেছেন, যা ছিল তার জন্মদিনের সারপ্রাইজ। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ওই নারী জানতে পারেন যে, তার দীর্ঘদিনের বন্ধু, কোনো রকম পূর্ব আলোচনা ছাড়াই, তার পুরো নাম – প্রথম, মাঝের ও শেষ নাম – বেশ বড় অক্ষরে নিজের হাতে ট্যাটু করেছেন। বিষয়টি জানার পর তিনি এতটাই বিস্মিত হন যে, তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধুকে ফোন করে তার অসন্তোষের কথা জানান। ওই নারীর মতে, বন্ধুটির এই কাজ চরম আপত্তিকর এবং অসম্মানজনক। তিনি আরও জানান, যদি তাকে আগে জানানো হতো, তাহলে তিনি কখনোই রাজি হতেন না।
বিষয়টি নিয়ে তিনি অনলাইনে পরামর্শ চেয়েছেন। সেখানে অনেকেই এই ঘটনায় নারীর উদ্বেগকে সমর্থন করেছেন। তাদের মতে, বন্ধু এমনটা করতে পারেন না। তবে, যেহেতু ট্যাটুটি বন্ধুর নিজের শরীরে আঁকা হয়েছে, তাই সেটি অপসারণ করার বিষয়ে তিনি বন্ধুকে বাধ্য করতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে বন্ধুত্বের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন।
ওই নারী আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি তার প্রেমিককে জানালে তিনিও হতাশ হয়েছেন। তাদের দুজনের কেউই এমনটা আশা করেননি।
সাধারণত, ট্যাটুর সংস্কৃতি পশ্চিমা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয় হলেও, বাংলাদেশে এর ধারণা এখনো অনেকের কাছে অপরিচিত। এখানে, শরীরের উপর কোনো চিহ্ন আঁকাকে অনেক সময় ভিন্নভাবে দেখা হয়।
সব মিলিয়ে, জন্মদিনের সারপ্রাইজ হিসেবে বন্ধুর এমন কাণ্ড বন্ধুত্বের গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, এই ঘটনার পরিণতি কি হয়। তাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: পিপল