বন্ধুত্বের বাঁধন: উল্কি আঁকা নিয়ে দুই বন্ধুর দ্বিধা
বন্ধুত্ব জীবনের এক অমূল্য সম্পদ। একসঙ্গে পথ চলা, হাসি-কান্না ভাগ করে নেওয়া, ভালো-মন্দ সময়ে পাশে থাকার নামই তো বন্ধুতা।
আর এই বন্ধুত্বের গভীরতা বোঝাতে অনেক সময়েই মানুষ চায় কিছু বিশেষ স্মৃতি তৈরি করতে, যা সবসময় তাদের মনে থাকবে। সম্প্রতি, দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু মার্নি ও ক্যাডির মধ্যে তাদের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে শরীরে উল্কি আঁকা নিয়ে তৈরি হয়েছে দ্বিধা।
মার্নি ও ক্যাডির বয়স இருশ বছর। তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একসঙ্গে ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। মার্নি এই ভ্রমণের স্মৃতি হিসেবে শরীরে উল্কি আঁকার প্রস্তাব দেন।
প্রথমে ক্যাডি রাজি থাকলেও, এখন তার দ্বিধা হচ্ছে। মার্নি চান, ভ্রমণের আগেই এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হোক। তার মতে, উল্কি তাদের বন্ধুত্বের গভীরতা আরও দৃঢ় করবে এবং জীবনের সুন্দর একটি মুহূর্তের সাক্ষী হিসেবে কাজ করবে।
মার্নি উত্তর থাইল্যান্ডের একটি নামকরা উল্কি আঁকার দোকানের সন্ধান পেয়েছেন। তার ডিজাইনও তৈরি করা আছে, যেখানে তাদের শৈশবের স্মৃতি হিসেবে জল এবং অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ক্যাডির দ্বিধা তৈরি হয়েছে মূলত পরিবারের আপত্তির কারণে। ক্যাডির বাবা-মা’র ধারণা, উল্কি ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারের জন্য ভালো নয় এবং থাইল্যান্ডের উল্কি আঁকার দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে।
ক্যাডি এখন চান, ভ্রমণের সময় সেখানকার পরিবেশ দেখে, দোকান ও শিল্পীর সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে।
এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চাওয়া হলে অনেকে ক্যাডির দ্বিধার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের মতে, বন্ধুত্বের প্রমাণ হিসেবে উল্কি আঁকা জরুরি নয় এবং তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
কারো কারো মতে, ভ্রমণের সময় যদি ক্যাডির মনে হয় উল্কি আঁকা উচিত, তবে তিনি সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
মার্নি ও ক্যাডির এই দ্বিধা বন্ধুত্বের গভীরতা ও সিদ্ধান্তের গুরুত্বের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। তারা কি তাদের বন্ধুত্বের এই বিশেষ মুহূর্তকে আরও স্মরণীয় করে রাখতে পারবে, নাকি দ্বিধার দোলাচলে সম্পর্কের অন্য কোনো দিকে মোড় নেবে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: The Guardian