আতঙ্কের ছবি! সীমান্তরক্ষী প্রধানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, আদালতে শুনানি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর প্রধান গ্রেগরি বভিনোর বিরুদ্ধে ফেডারেল এজেন্টদের আগ্রাসী কৌশল ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগে আদালতের নজরে এসেছেন তিনি।

শিকাগোতে অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের উপর এই ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে বিচারক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, শিকাগোর একটি আদালতে বভিনোকে তলব করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাসের শেল ছুঁড়েছিলেন।

এই ঘটনার একটি ভিডিওচিত্রও প্রকাশ হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে বভিনোকে। বিচারক সারা এলিস ইতোমধ্যেই ফেডারেল এজেন্টদের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু কৌশল ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, বভিনো শিকাগোর ‘লিটল ভিলেজ’ এলাকায় অভিবাসন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভের সময় কোনো কারণ ছাড়াই টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েছিলেন। এই অভিযোগ এনেছে ‘শিকাগো হেডলাইন ক্লাব’, যারা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে।

ফেডারেল এজেন্টদের এই ধরনের কঠোর আচরণের ঘটনা ‘অপারেশন মিডওয়ে ব্লিৎজ’-এর অংশ হিসাবে ঘটেছে। এই অভিযানের মাধ্যমে গত ৮ই সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১,০০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার সকালে শিকাগোর ‘ওল্ড ইভিং পার্ক’ এলাকায় টিয়ার গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

বিচারক এলিসের নিষেধাজ্ঞার পরেও কর্তৃপক্ষের এই ধরনের পদক্ষেপের কারণে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গত সপ্তাহে, অভিবাসন কর্মকর্তাদের ব্যবহার নিয়ে বিচারকের কাছে শুনানি হয়।

সেখানে কর্মকর্তারা তাদের কৌশল এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহারের কারণ ব্যাখ্যা করেন।

একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিচারক জানতে চান, কেন অ্যালবানি পার্কে ফেডারেল এজেন্টরা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেছিলেন।

এছাড়াও, ১৪ই অক্টোবর শিকাগোর ‘ইস্ট সাইড’ এলাকায় অভিবাসন অভিযানের সময় ফেডারেল এজেন্টরা একটি গাড়িকে ধাওয়া করে এবং সেটিকে দুর্ঘটনার শিকার করে।

এরপরে, সেখানে জড়ো হওয়া জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা হয়।

আরেকটি ঘটনায়, ১৯শে অক্টোবর ‘রোলিং মেডো’ নামক শহরতলীতে একজন ফেডারেল এজেন্টকে একটি আইসক্রিম দোকানের বাইরে অস্ত্র তাক করতে দেখা যায়।

এছাড়াও, শনিবার ‘ইভিং পার্ক’-এ নির্মাণ শ্রমিকদের আটকের পর টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা হয়।

ডিএইচএস (ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা কর্মকর্তাদের ঘিরে ধরেছিল, যার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল। শিকাগো হেডলাইন ক্লাব এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞার আরও কিছু লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই ঘটনাগুলো সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *