মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল দল, বোস্টন সেল্টিক্স, ৬.১ বিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে। খেলাধুলার ইতিহাসে এটি একটি রেকর্ড সৃষ্টিকারী ঘটনা, যা উত্তর আমেরিকায় কোনো ক্রীড়া দলের সর্বোচ্চ মূল্যে হাতবদলের নজির।
এই বিশাল অঙ্কের বিনিময়ে সেল্টিক্সের মালিকানা কিনেছে একটি বিনিয়োগকারী দল, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিলিয়নিয়ার উইলিয়াম চিসোলম।
ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএ)-এর অন্যতম সফল দল হলো বোস্টন সেল্টিক্স। দলটির রয়েছে ১৮টি চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার গৌরব।
বাস্কেটবল খেলাটি বাংলাদেশে সরাসরি জনপ্রিয় না হলেও, এর আর্থিক দিক এবং আন্তর্জাতিক গুরুত্ব অনেক। এই দলটির বিক্রি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি বড় উদাহরণ।
উইলিয়াম চিসোলমের নেতৃত্বে গঠিত বিনিয়োগকারী দলে রয়েছেন রিয়েল এস্টেট জায়ান্ট রিলেটেড কোম্পানির প্রেসিডেন্ট ব্রুস বিয়াল জুনিয়র এবং বর্তমান সেল্টিক্সের বিনিয়োগকারী রব হেল।
চিসোলম ব্যক্তিগত ইক্যুইটি থেকে বিশাল সম্পদ তৈরি করেছেন। সেল্টিক্সের বর্তমান প্রধান নির্বাহী ওয়াইক গ্রাউসবেক বলেছেন, “বিল একজন অসাধারণ ব্যক্তি এবং সত্যিকারের সেল্টিক্সের ভক্ত।
বোস্টন শহরের প্রতি তার ভালোবাসা এবং দলের নেতৃত্বের সঙ্গে তার বোঝাপড়া তাকে দলের পরবর্তী গভর্নর ও নিয়ন্ত্রক মালিক হিসেবে যোগ্য করে তুলেছে।”
২০০২ সালে গ্রাউসবেক পরিবার এই দলটিকে মাত্র ৩৬০ মিলিয়ন ডলারে কিনেছিল। সেই হিসাবে, তাদের বিনিয়োগের মূল্য প্রায় ১৬০০ শতাংশ বেড়েছে।
গ্রাউসবেক ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত দলের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। চিসোলম সিলিকন ভ্যালি ভিত্তিক প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্ম, সিম্ফনি টেকনোলজি গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা অংশীদার।
এই বিশাল অঙ্কের বিনিময়ে বোস্টন সেল্টিক্স বিক্রি হওয়ার ঘটনাটি ক্রীড়া জগতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
এর আগে, ২০২৩ সালে ন্যাশনাল ফুটবল লীগ (এনএফএল)-এর দল ওয়াশিংটন কমান্ডার্স ৬.০৫ বিলিয়ন ডলারে এবং একই বছর এনবিএ-এর দল ফিনিক্স সানস ৪ বিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল।
ডলারের বর্তমান বিনিময় হার (ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪) অনুযায়ী, ৬.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রায় ৭১ হাজার কোটি টাকার সমান।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বিশাল পরিমাণ অর্থ একটি বড় অবকাঠামো প্রকল্পের ব্যয়ের সঙ্গে তুলনীয়।
এই চুক্তির মাধ্যমে ক্রীড়া ব্যবসার ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব আরও একবার প্রমাণিত হলো। বোস্টন সেল্টিক্সের এই রেকর্ড মূল্যে বিক্রি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তুলবে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
তথ্য সূত্র: সিএনএন