নিউ ইয়র্ক শহরের বাসিন্দা ৬৭ বছর বয়সী অ্যালিসন-এর জীবন নতুন করে আলো ঝলমলে হয়েছে, পুরোনো একটি ভুল শল্য চিকিৎসার ফল সারিয়ে। বেশ কয়েক বছর আগে করা একটি ‘ফেইসলিফ্ট’ এর কারণে তাঁর চোখের পাতা ঠিকমতো বন্ধ হতো না।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তিনি দ্বারস্থ হন নামকরা প্লাস্টিক সার্জন ডঃ ওরেন টেপারের কাছে।
চিকিৎসকদের পরামর্শে অ্যালিসন-এর দ্বিতীয়বার ফেইসলিফ্ট করার সিদ্ধান্ত হয়। ডঃ টেপার-এর তত্ত্বাবধানে হওয়া চার ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে, তাঁর মুখের হারানো স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
এই অস্ত্রোপচারে ফ্যাট গ্রাফটিং-এর মাধ্যমে মুখের চামড়ার নিচে শরীরের অন্য স্থান থেকে ফ্যাট বা চর্বি প্রতিস্থাপন করা হয়। সাধারণত, এই ফ্যাট সংগ্রহ করা হয় রোগীর ঊরুদেশ থেকে।
অ্যালিসন জানান, আগের অস্ত্রোপচারের পর তাঁর চেহারায় বয়সের ছাপ আরও বেশি দেখাচ্ছিল, যা তাঁকে হতাশ করে তুলেছিল। স্বাভাবিক সৌন্দর্য্যের প্রত্যাশা নিয়েই তিনি ডঃ টেপারের শরণাপন্ন হন।
অস্ত্রোপচারের পর অ্যালিসন এখন তাঁর বয়স অনুযায়ী স্বাভাবিক দেখাচ্ছে এবং তিনি এই পরিবর্তনে অত্যন্ত খুশি। তিনি বলেন, অস্ত্রোপচারের পর তিনি মানসিক শান্তি ফিরে পেয়েছেন।
ডঃ টেপার ব্যাখ্যা করেন, অ্যালিসন-এর আগের অস্ত্রোপচারটি তেমন সফল হয়নি। তিনি জানান, ফ্যাট গ্রাফটিং-এর মাধ্যমে মুখের volume ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যা তাঁকে স্বাভাবিক দেখাতে সাহায্য করেছে।
“বুমেরাং লিফ্ট” পদ্ধতিতে গালের হাড় এবং চোখের নিচে ফ্যাট যোগ করা হয়। এছাড়াও চোখের পাতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়, যার ফলে তাঁর চোখের পাতা আগের মতো স্বাভাবিকভাবে বন্ধ হতে শুরু করে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ফেইসলিফ্ট বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তবে অস্ত্রোপচারের আগে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া এবং নির্ভরযোগ্য ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো অত্যন্ত জরুরি।
তথ্যসূত্র: পিপল