প্রেমের সম্পর্কে জটিলতা এবং প্রাক্তন সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের সমস্যা নিয়ে অনলাইনে পরামর্শ চেয়েছেন এক নারী। যুক্তরাজ্যের একটি অনলাইন ফোরামে তিনি তার অভিজ্ঞতার কথা জানান, যেখানে তিনি তার বর্তমান প্রেমিকের প্রাক্তন সঙ্গীর আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ওই নারীর অভিযোগ, তার প্রেমিক এবং প্রাক্তন সঙ্গীর একটি সন্তান রয়েছে এবং প্রাক্তন সঙ্গিনী প্রায়ই অপ্রত্যাশিত সময়ে তার প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
জানা যায়, ওই নারী এবং তার প্রেমিক প্রায় দুই বছর ধরে একসঙ্গে আছেন এবং তারা সম্প্রতি এক সাথে বসবাস শুরু করেছেন। তাদের প্রেমিকের আগের সম্পর্ক থেকে একটি চার বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে, যে কিনা সপ্তাহে প্রায় অর্ধেক সময় তাদের সঙ্গে থাকে।
তাদের জীবনযাত্রা সাধারণভাবে সুন্দর হলেও, সমস্যা তৈরি হয়েছে প্রেমিকের প্রাক্তন সঙ্গীর কিছু আচরণের কারণে।
ওই নারীর মতে, প্রাক্তন সঙ্গিনী খুবই প্রয়োজন- ориентирован (need-oriented) একজন মানুষ। তিনি প্রায়ই তার প্রেমিকের কাছে মেয়ের দেখাশোনার দিন পরিবর্তনের জন্য বার্তা পাঠান এবং দ্রুত উত্তর না পেলে একাধিকবার ফোন করেন।
শুধু তাই নয়, মাঝেমধ্যে তিনি গভীর রাতে, যেমন- রাত বারোটায় ফোন করেন, যখন তিনি মেয়েকে সামলাতে পারেন না।
এমনকি, মেয়েটিকে নেওয়া বা নামানোর সময়ও তিনি প্রেমিকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার চেষ্টা করেন এবং একবার তো তিনি তার প্রেমিকের অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন।
শুরুতে, প্রাক্তন সঙ্গিনী তার প্রেমিকের সঙ্গে একটি রোমান্টিক সম্পর্ক চেয়েছিলেন, যখন তিনি গর্ভবতী হন, কিন্তু প্রেমিক তাতে রাজি হননি।
এই পরিস্থিতিতে, ওই নারী জানতে চান যে প্রাক্তন সঙ্গীর এই ধরনের আচরণ স্বাভাবিক কিনা এবং তার কী করা উচিত।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইন আলোচনায় অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন যে, এই ধরনের আচরণকে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
তাদের মতে, প্রাক্তন সঙ্গিনী সম্ভবত একাকিত্বে ভুগছেন এবং সন্তানের দেখাশোনার কঠিন সময়ে কারো সঙ্গ চাচ্ছেন।
তবে, ওই নারীর মতে, তার প্রেমিক এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়াকে সঠিক মনে করেন, যা কিনা তার কাছে অসম্মানজনক মনে হয়।
এই ঘটনার মাধ্যমে, আধুনিক সম্পর্ক এবং প্রাক্তন সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতাগুলো আবারও আলোচনায় এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে, বাবা-মায়ের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা প্রয়োজন।
এই ধরনের পরিস্থিতিতে, সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করে একটি সমাধানে আসা যেতে পারে, যা উভয় পক্ষের জন্যই স্বস্তিদায়ক হবে।
তথ্য সূত্র: পিপল