শিরোনাম: প্রকাশ্যে থুতু ফেলা নিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার মনোমালিন্য: সমাজে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন
সমাজজীবনে কিছু বিষয় থাকে যা আমাদের ভালো লাগুক বা না লাগুক, মেনে নিতে হয়। এই যেমন, রাস্তায় থুতু ফেলা। কোনো দেশে হয়তো এটা স্বাভাবিক, কিন্তু অন্য কোথাও তা দৃষ্টিকটু হিসেবে বিবেচিত হয়।
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে। যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা জেনিয়ার প্রেমিক আহমেদ, যিনি সৌদি আরবে বেড়ে উঠেছেন, তার প্রকাশ্যে থুতু ফেলার অভ্যাসে বিরক্ত জেনিয়া।
আহমেদের যুক্তি হলো, সৌদি আরবে এটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়, কোনো সমস্যা নেই। তার মতে, এটা তার অভ্যাসের অংশ, যা সহজে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। সব সময় গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি থুতু ফেলেন।
অন্যদিকে, জেনিয়ার মতে, এটা খুবই অমার্জিত এবং দৃষ্টিকটু। তার মনে হয়, এর মাধ্যমে যেন সমাজের প্রতি এক ধরনের অশ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হয়।
জেনিয়া চান, আহমেদ যেন এই অভ্যাস ত্যাগ করেন।
আহমেদ জানিয়েছেন, তিনি চেষ্টা করছেন তার এই অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য, কিন্তু এটা এত সহজে সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, জেনিয়া তার এই দিকটা মেনে নিতে পারছেন না।
এমনকি, একবার জেনিয়ার মা আহমেদের এই আচরণ দেখে বেশ বিব্রত হয়েছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করেন, প্রকাশ্যে থুতু ফেলা একটি খারাপ অভ্যাস এবং তা পরিহার করা উচিত।
তাদের মতে, এটা শুধু রুচিহীনতাই প্রকাশ করে না, বরং অন্যদের অস্বস্তিতেও ফেলে। কেউ কেউ বলছেন, মানুষের ভালো ব্যবহার করা উচিত এবং এমন কিছু করা উচিত নয়, যা অন্যের বিরক্তির কারণ হয়।
অন্যদিকে, কেউ কেউ বলছেন, এটা হয়তো সংস্কৃতি ও বেড়ে ওঠার ধরনের সঙ্গে জড়িত। আহমেদের ক্ষেত্রে যেহেতু বিষয়টি তার সংস্কৃতির অংশ, তাই হুট করে তা ত্যাগ করা কঠিন।
তবে, তারা এও মনে করেন, জনসম্মুখে এই ধরনের আচরণ অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
এই ঘটনায় একদিকে যেমন সংস্কৃতি ও অভ্যাসের প্রশ্ন, তেমনিভাবে সমাজের চোখে কোন আচরণ গ্রহণযোগ্য, সেই বিষয়গুলোও সামনে চলে আসে।
আমাদের সমাজে এমন অনেক বিষয় আছে যা হয়তো কারো জন্য স্বাভাবিক, আবার কারো জন্য তা বিরক্তিকর। তাই, সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে, অন্যের ভালো লাগা-মন্দ লাগার দিকে খেয়াল রেখে চলা উচিত।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান