বিখ্যাত র্যাপার ব্রান্ডি এবং মনিকা তাঁদের জনপ্রিয় দ্বৈত সঙ্গীত ‘দ্য বয় ইজ মাইন’-এর অনুপ্রেরণা নিয়ে মুখ খুলেছেন। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া এই গানটি কীভাবে তৈরি হয়েছিল, সেই অজানা গল্প জানিয়েছেন তাঁরা।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ব্রান্ডি জানান, জনপ্রিয় টক শো ‘দ্য জেরি স্প্রিংগার শো’র একটি পর্ব থেকে এই গানের ধারণা আসে। অনুষ্ঠানে ব্রান্ডি জানান, তিনি ‘দ্য জেরি স্প্রিংগার শো’-এর একজন বড় ভক্ত ছিলেন।
একটি পর্বে ‘দ্য বয় ইজ মাইন’ বিষয়ক আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনা থেকেই তাঁর মনে হয়, এই নামে একটি গান তৈরি করা যেতে পারে।
ব্রান্ডি জানান, গানটি তৈরির জন্য তিনি মনিকার সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলেন। কারণ, তিনি মনিকার কাজের ভক্ত ছিলেন।
তাই, তিনি মনিকাকে ফোন করে গানের প্রস্তাব দেন এবং মনিকা রাজি হয়ে যান।
গানটি মুক্তির পর দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। বিলবোর্ড চার্টে টানা ১৩ সপ্তাহ গানটি এক নম্বরে ছিল এবং এটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডও জয় করে।
গানের ভিডিওর শুরুতে দেখা যায়, ব্রান্ডি ‘দ্য জেরি স্প্রিংগার শো’ দেখছেন, পরে মনিকা চ্যানেল পরিবর্তন করেন। এরপর টিভি নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং গানের শুরু হয়।
যদিও গান মুক্তির পর ব্রান্ডি ও মনিকার মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়, এমনকি ২০১২ সালে তাঁদের দ্বিতীয় দ্বৈত গান ‘ইট অল বিলংস টু মি’ মুক্তির পরও তাঁদের সম্পর্ক ভালো ছিল না।
তবে, ২০২০ সালে ‘ভারজুজ’ অনুষ্ঠানে তাঁদের একসঙ্গে পারফর্ম করতে দেখা যায়। এরপর তাঁরা তাঁদের পুরনো সম্পর্ক ঝেড়ে ফেলে নতুন করে পথচলা শুরু করেন।
২০২৪ সালে তাঁরা জনপ্রিয় শিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ডের সঙ্গে ‘দ্য বয় ইজ মাইন’-এর একটি রিমিক্স করেন। মনিকা জানান, ব্রান্ডির সঙ্গে আবার কাজ করাটা তাঁর জন্য আশীর্বাদস্বরূপ ছিল।
শুধু গান নয়, তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও তাঁরা অনেক কথা বলেছেন।
বর্তমানে ব্রান্ডি ও মনিকা তাঁদের ‘বয় ইজ মাইন’ ট্যুর নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আগামী বছরের ১৬ অক্টোবর সিনসিনাটিতে এই ট্যুর শুরু হবে এবং ৭ ডিসেম্বর হিউস্টনে তা শেষ হবে।
এই সফরে তাঁদের সঙ্গে থাকছেন কেলি রোল্যান্ড, মুনি লং এবং ২০২৩ সালের ‘আমেরিকান আইডল’ বিজয়ী জামাল রবার্টস।
তথ্য সূত্র: পিপল