বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন ব্রাভো-র তারকারা! ভালোবাসার গল্পে উত্তাপ

শিরোনাম: জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো তারকাদের প্রেম জীবন: ক্যামেরার পেছনে তাদের ব্যক্তিগত জগৎ

ঢাকা, [আজকের তারিখ] – জনপ্রিয় মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ব্র্যাভো-র রিয়েলিটি শো-এর পরিচিত মুখেরা তাদের ব্যক্তিগত প্রেম জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তারা তাদের প্রেম, সম্পর্ক এবং খ্যাতির প্রভাব নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন।

এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন শেপ রোজ, জেসি সলোমন, কার্ল রেডকে, ফ্রেজার ওলেন্ডার, টম শোয়ার্টজ এবং টাইসন বেকফোর্ড-এর মত তারকারা।

আলোচনায় উঠে আসে, রিয়েলিটি শো-এর তারকা হয়ে ডেটিং করা কতটা কঠিন। টম শোয়ার্টজ জানান, “দর্শকরা আমাদের ভালো এবং খারাপ দুটো দিকই দেখে। যারা আমাদের ১১টি সিজন ধরে সমর্থন করে আসছেন, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হয়।”

অন্যদিকে, শেপ রোজ জানান, “পরিচিত হওয়ার পরে অনেকে হয়তো সরাসরি বলেন, তারা তাদের শো দেখেন না। কিন্তু পরে তারা তাদের ভালো লাগা বা খারাপ লাগার কথা জানান।”

তাদের সম্পর্কগুলো সবসময় যে সহজ পথে চলে, তা নয়। জেসি সলোমন জানান, “বর্তমানে একটি বিচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, যা মানুষকে কষ্ট দিয়েছে।”

অনুষ্ঠানে তারা ভক্তদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা জানান। টাইসন বেকফোর্ড বলেন, “আমি একবার এমন এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম, যিনি আমার সঙ্গে কথা বলার সময় আমার সম্পর্কে উইকিপিডিয়াতে খুঁজছিলেন।”

অন্যদিকে, কার্ল রেডকে-এর মতে, “যদি কারো সঙ্গে ভালো সম্পর্ক হয়, তাহলে সেই সুযোগ নেওয়া উচিত।”

আলোচনায় তাদের পরিবারের প্রতিক্রিয়াও উঠে আসে। টাইসন বেকফোর্ড জানান, “আমি কাউকে কিছু না জানিয়েই এই শো-তে অংশ নিয়েছিলাম।”

রিয়েলিটি শো-এর খ্যাতি সম্পর্কগুলোর উপর কেমন প্রভাব ফেলে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে শেপ রোজ বলেন, “এই ধরনের শো-তে সম্পর্কের স্থায়িত্ব তুলনামূলকভাবে কম থাকে।” জেসি সলোমন যোগ করেন, “যখন কোনো সম্পর্ক ভেঙে যায়, তখন অনেক নেতিবাচক মন্তব্য আসে। তবে পরিবারের সমর্থনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

আলোচনায় উঠে আসে, তারা যদি তাদের পছন্দের মানুষকে পান, যিনি ক্যামেরার সামনে আসতে চান না, সেক্ষেত্রে তারা কী করবেন। কার্ল রেডকে বলেন, “যদি কারো সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক থাকে এবং পরিবার থাকে, তাহলে ক্যামেরার সামনে না আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।”

জেসি সলোমন জানান, “যারা আমাদের সঙ্গে ডেটিং করেন, তাদের জন্য তেমন কোনো সুবিধা থাকে না, বরং অনেক সময় খারাপ অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়।”

তাদের মতে, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও আলোচনা খুবই জরুরি।

প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *