মা হয়ে জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা! মুখ খুললেন ব্রেন্ডা সং

মা ও শিশুদের প্রতি ভালোবাসার বার্তা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী ব্রেন্ডা সং। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দুই সন্তানের মা, এই হলিউড তারকা জানিয়েছেন মাতৃত্বের এক নতুন অভিজ্ঞতার কথা, যা বদলে দিয়েছে তার জীবন।

মা দিবসের প্রাক্কালে তিনি কিভাবে দিনটি উদযাপন করতে চান, সেই বিষয়েও কথা বলেছেন।

দুই সন্তানের জননী ব্রেন্ডা সং-এর কথায়, “মা হিসেবে সবসময়ই আমাদের দৌড়াতে হয়। সবসময় এত কিছু করার থাকে যে, নিজের দিকে তাকানোর সময়টুকুও পাওয়া যায় না।” তিনি মনে করেন, মা দিবসের মতো বিশেষ দিনগুলো একজন মায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ এই দিনটিতে মায়েরা একটু জিরিয়ে নিতে পারেন, নিজেদের ভালো রাখতে পারেন।

ব্রেন্ডা জানান, মা হওয়ার পর তিনি তার নিজের মায়ের আত্মত্যাগের কথা আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, “আমার মা কীভাবে এত কিছু সামলেছেন, তা ভেবে আমি অবাক হই।”

প্রথম সন্তানের জন্মের দুই সপ্তাহ পরেই তিনি মাকে বলেছিলেন, “মা, আমি দুঃখিত, যদি কোনোদিনও তোমাকে কষ্ট দিয়ে থাকি।”

বর্তমানে কাজের পাশাপাশি সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোটা ব্রেন্ডার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত তার কাছে অমূল্য।

তিনি বলেন, “আমি কখনোই আমার সন্তানদের সঙ্গে কাটানো সময়ের সঙ্গে আপস করতে চাই না।”

সন্তানদের জন্য তিনি ডোরড্যাশ-এর মতো সুবিধা গ্রহণ করেন, যাতে রান্নার চিন্তা না করে তাদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে পারেন।

‘সুইট লাইফ অফ জ্যাক অ্যান্ড কোডি’-র মতো জনপ্রিয় টিভি শো-এর অভিনেত্রী ব্রেন্ডা সং আরও বলেন, মাতৃত্ব তাকে জীবনের আসল উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে। তার মতে, “সন্তানরাই হলো আমাদের আসল পরিচয়, আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের ভালো রাখাই একজন মায়ের প্রধান দায়িত্ব।”

মা হওয়ার আগে তার জীবন সুন্দর এবং পরিপূর্ণ ছিল, তবে সন্তানের আগমনের পর সবকিছু যেন নতুন অর্থ খুঁজে পেয়েছে।

আসন্ন মা দিবসে কিভাবে দিনটি কাটানোর পরিকল্পনা করছেন জানতে চাইলে ব্রেন্ডা বলেন, “মা হিসেবে আমি চাই, এই দিনে আমি কোনো কাজ না করি।”

তিনি তার মা, বোন এবং সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে চান। তাদের পছন্দের কোনো উদ্যানে ঘুরতে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।

ব্রেন্ডা সং-এর এই অনুভূতিগুলো বাংলাদেশের অনেক মায়ের সঙ্গেই মিলে যায়। আমাদের সমাজে পরিবারের প্রতি ভালোবাসা এবং ত্যাগ অপরিহার্য।

মায়েদের আত্মত্যাগ ও তাদের প্রতি সম্মান জানানো আমাদের সংস্কৃতিতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রেন্ডা সং-এর এই গল্পটি যেন সেই ভালোবাসারই প্রতিচ্ছবি।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *