৮৫ বছর বয়সেও অভিনয়ে অবিচল, নতুন ছবিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন ব্রেন্ডা ভ্যাকারো।
সুদীর্ঘ অভিনয় জীবন আর নতুন ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন প্রবীণ অভিনেত্রী ব্রেন্ডা ভ্যাকারো। বয়সকে যেন তিনি কেবল একটি সংখ্যা হিসেবেই দেখেন।
৮০ পেরিয়েও তিনি যেন আজও একজন তরুণীর মতোই প্রাণবন্ত। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ছবি ‘ননাস’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে আবারও আলোচনায় এসেছেন এই খ্যাতিমান অভিনেত্রী। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে সুসান সারান্ডন, লরেন ব্র্যাকো, তালিয়া শায়ারের মতো অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
ব্রেন্ডা ভ্যাকারোর অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল বহু বছর আগে। মঞ্চ থেকে টেলিভিশন, এরপর সিনেমার পর্দায়ও তিনি তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।
১৯৬৯ সালের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘মিডনাইট কাউবয়’-এর মতো দর্শকপ্রিয় ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া ‘ফ্রেন্ডস’ এবং ‘এন্ড জাস্ট লাইক দ্যাট’-এর মতো জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজেও দেখা গেছে তাঁকে।
নিজের বয়স নিয়ে ব্রেন্ডা ভ্যাকারো বলেন, বয়সকে আমি তেমন একটা পাত্তা দিই না।
শরীরে কিছু পরিবর্তন তো আসবেই, তবে কাজ করে যেতে ভালো লাগে। তাঁর মতে, বয়স বাড়লে মানুষ অনেক কিছু অর্জন করে, হারায় না।
‘ননাস’ ছবিটির গল্প ভালোবাসার, পরিবারের এবং নতুন করে জীবন শুরু করার অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি।
ছবিতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি তাঁর রেস্টুরেন্টের রান্নার জন্য পেশাদার শেফের বদলে নানা বয়সী নারীদের (ননাস) নিয়োগ করেন। ব্রেন্ডা ভ্যাকারো মনে করেন, এই ছবিটিতে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা রয়েছে—নতুন করে কিছু শুরু করার কোনো বয়স নেই।
অভিনয় জীবনের শুরুতে ব্রুকলিনে জন্ম নেওয়া ব্রেন্ডা,Neighborhood Playhouse-এ অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।
এরপর তিনি খ্যাতিমান সব অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করেছেন। রবার্ট মিটচামের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে তিনি বলেন, “তিনি আমাকে অভিনয় শিখিয়েছেন।
তিনি বলতেন, কম করো, তবে বেশি কাজ হবে।”
‘মিডনাইট কাউবয়’ ছবিতে জন ভয়েটের সঙ্গে তাঁর একটি দৃশ্যের কথা উল্লেখ করে ব্রেন্ডা বলেন, সে সময় পোশাক পরিকল্পনাকারী অ্যান রথ একটি বিশেষ ফক্স ফারের কোট খুঁজে বের করেছিলেন, যা তাঁর জন্য খুবই সহায়ক হয়েছিল।
অভিনেত্রী হিসেবে ব্রেন্ডা ভ্যাকারোর সফলতার পেছনে রয়েছে তাঁর কঠোর পরিশ্রম এবং কাজের প্রতি ভালোবাসা।
তিনি এখনো নতুন কাজের জন্য মুখিয়ে থাকেন। ব্রেন্ডা ভ্যাকারোর মতে, জীবন হলো চলমান এবং উজ্জ্বল।
তথ্য সূত্র: পিপল