যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক বিচারপতি স্টিফেন ব্রায়ার, যিনি ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন, ফেডারেল বিচারকদের রক্ষা করে বক্তব্য রেখেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার মিত্রদের সমালোচনার মুখে পড়া বিচারকদের সমর্থনে তিনি এই কথা বলেন।
বিভিন্ন রায়ের মাধ্যমে হোয়াইট হাউসের কার্যক্রমকে ধীর করে দেওয়ার কারণে তাদের ওপর এই সমালোচনা করা হচ্ছে।
বিচারপতি ব্রায়ার বলেন, “প্রত্যেক বিচারক বর্তমান সময়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত আছেন, তবে তাদের অবশ্যই আইনের সেরা ব্যাখ্যা অনুযায়ী বিতর্কিত মামলার রায় দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আপনাকে অবশ্যই আইন অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে, অবশ্যই আছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনার কারণ হলো ফেডারেল বিচারকদের কিছু রায়, যার ফলে প্রেসিডেন্টের কিছু পদক্ষেপ স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ১৭৯৮ সালের একটি যুদ্ধকালীন আইনের অধীনে দ্রুত নির্বাসন প্রক্রিয়া বন্ধ করা।
এই মামলার সঙ্গে জড়িত বিচারকের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিশংসনের আহ্বানের পরে প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস মঙ্গলবার একটি বিরল বিবৃতি দেন।
প্রধান বিচারপতি রবার্টস বিচারকদের রক্ষা করে বলেন, যারা নিম্ন আদালতের রায়ে হেরে যান, তাদের উচিত সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা, বিচারকের বিরুদ্ধে অভিশংসনের হুমকি দেওয়া নয়।
সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রায়ার রবার্টসের এই বিবৃতিকে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, “প্রধান বিচারপতি রবার্টস দেশের মানুষকে আইনি ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে করে না, সে সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করছেন।”
তিনি আরও যোগ করেন, “কোনও বিচারকের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত না হলে তাকে অভিশংসন করার মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা কাজ করে না।”
ব্রায়ারকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল যে দেশ সাংবিধানিক সংকটের কাছাকাছি যাচ্ছে কিনা, তখন তিনি সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, “আসলে কেউ জানে না।
এ বিষয়ে মানুষের ভিন্ন ভিন্ন মতামত রয়েছে। বিচারকদের জন্য সবচেয়ে ভালো হলো, আইনের অনুসরণ করা।
বিল ক্লিনটনের আমলে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ব্রায়ার ২০২২ সালে তার অবসরের ঘোষণা করেন। এরপর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্রায়ারের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে বিচারপতি কেটানজি ব্রাউন জ্যাকসনকে মনোনীত করেন এবং তিনি একই বছর এপ্রিল মাসে সিনেটে নিশ্চিত হন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন