শিরোনাম: ভুল লেবেলের কারণে আমেরিকায় ব্রেয়ার্স আইসক্রিম প্রত্যাহার, এলার্জির ঝুঁকি
যুক্তরাষ্ট্রে ব্রেয়ার্স (Breyers) ব্র্যান্ডের ৬,৬০০-এর বেশি কার্টুন আইসক্রিম বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, এই আইসক্রিমের প্যাকেজিংয়ে ভুল ছিল, যার ফলে মারাত্মক এলার্জির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) জানিয়েছে, ব্রেয়ার্স চকলেট ট্রাফল আইসক্রিমের কনটেইনারগুলোতে আসল স্বাদের বদলে রকি রোড আইসক্রিম পাওয়া গেছে। এই রকি রোড আইসক্রিমে বাদাম ছিল, যা লেবেলে উল্লেখ করা হয়নি।
এফডিএ’র মতে, এই ঘটনা ‘শ্রেণী ২’-এর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ, ভুল পণ্য ব্যবহারের ফলে সাময়িক স্বাস্থ্য সমস্যা অথবা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত বাদাম থেকে হওয়া এলার্জি মারাত্মক হতে পারে এবং জীবনহানির কারণও ঘটাতে পারে।
ব্রেয়ার্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের একটি নির্দিষ্ট লটের (batch) ১.৫ কোয়ার্ট আকারের চকলেট ট্রাফল আইসক্রিমের কন্টেইনারে রকি রোড আইসক্রিম পাওয়া গেছে। রকি রোড আইসক্রিমে বাদাম থাকে, যা প্যাকেজের লেবেলে উল্লেখ করা হয়নি। বাদামে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের এই পণ্যটি খাওয়া উচিত নয়।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো পণ্যের গুণগত মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ভোক্তাদের সুবিধার জন্য ব্রেয়ার্স-এর ওয়েবসাইটে (www.breyers.com) অথবা তাদের হেল্পলাইন নম্বরে (যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য) বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
এই মুহূর্তে ঠিক কোন কোন অঞ্চলে এই আইসক্রিম সরবরাহ করা হয়েছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এফডিএ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পরিবেশক কেন্দ্র ও খুচরা দোকানে এই পণ্য সরবরাহ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, রকি রোড আইসক্রিমে সাধারণত কাঠবাদাম ব্যবহার করা হয়। ব্রেয়ার্স চকলেট ট্রাফল আইসক্রিমের লেবেলে ‘এতে কাঠবাদাম থাকতে পারে’ উল্লেখ করা ছিল।
খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্য পণ্যের মোড়কীকরণে ভুল হলে তা ভোক্তাদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে যাদের কোনো খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের জন্য এটি জীবন-মরণ সমস্যাও ডেকে আনতে পারে।
এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে, প্রায় ১৮,০০০ কন্টেইনার ওয়েলস ডেইরি (Wells Dairy)-এর আইসক্রিম ও ফ্রোজেন ইয়োগার্ট বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেগুলোতে প্লাস্টিকের কণা পাওয়া গিয়েছিল।
তথ্য সূত্র: পিপল