ডিট্রয়েট লায়ন্স দলের নিরাপত্তা রক্ষক ব্রায়ান ব্রাঞ্চের এক ম্যাচের সাসপেনশন বহাল রাখা হয়েছে। কানসাস সিটি চিফসের বিরুদ্ধে খেলা শেষে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের সাথে মারামারির জের ধরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমেরিকান ফুটবলের এই ঘটনা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ফুটবল খেলার মাঠের বাইরের এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাতে, যখন ডিট্রয়েট লায়ন্স দল কানসাস সিটির কাছে পরাজিত হয়। খেলা শেষে ব্রায়ান ব্রাঞ্চ ক্যানসাস সিটি চিফসের খেলোয়াড় জুজু স্মিথ-শস্টারের ওপর হামলা করেন। এর পরেই ন্যাশনাল ফুটবল লীগ (এনএফএল) ব্রাঞ্চের বিরুদ্ধে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্রাঞ্চ আপিল করেছিলেন, কিন্তু এনএফএল ও প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক নিযুক্ত শুনানী কর্মকর্তা জর্ডি নেলসন তা খারিজ করে দেন। এনএফএল-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্রাঞ্চের এই আচরণ খেলাধুলার স্বাভাবিক নিয়মের পরিপন্থী ছিল এবং তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। খেলা পরিচালন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জন রানিয়ান ব্রাঞ্চকে লেখা এক চিঠিতে বলেন, “আপনার আক্রমণাত্মক আচরণ ছিল সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত এবং এতে গুরুতর আঘাতের ঝুঁকি ছিল। একজন এনএফএল খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না।”
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, খেলা শেষে ক্যানসাস সিটির খেলোয়াড় প্যাট্রিক মাহোমিস ব্রাঞ্চের দিকে হাত বাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানাতে যান, কিন্তু ব্রাঞ্চ তাকে এড়িয়ে যান। এরপর স্মিথ-শস্টার ব্রাঞ্চের দিকে এগিয়ে গেলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে ব্রাঞ্চ ঘুষি মারেন। এতে স্মিথ-শস্টারের নাক ফেটে যায় এবং দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
ঘটনার পর ব্রাঞ্চ তার আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমি একটু ছেলেমানুষি করেছি, তবে খেলার মধ্যে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা যে ধরনের আচরণ করে, রেফারিরা সবসময় তা ধরেন না। তারা আমাকে উত্যক্ত করার চেষ্টা করছিল, তাই আমার এমন করা উচিত হয়নি। এটা আমার ভুল ছিল।”
এদিকে, লায়ন্স কোচ ড্যান ক্যাম্পবেলও ব্রাঞ্চের এই আচরণের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “ব্রায়ান ব্রাঞ্চকে আমি ভালোবাসি, তবে তার এই কাজ ক্ষমার অযোগ্য এবং আমরা তা সমর্থন করি না। আমি কোচ (অ্যান্ডি) রিড এবং চিফসের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। এটা আমাদের দলের সংস্কৃতি নয়।”
এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্রাঞ্চ আগামী নভেম্বরের ২ তারিখে মিনেসোটার বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলতে পারবেন। এর আগে তিনি বায়ে সপ্তাহে দলের বাইরে থাকবেন এবং আগামী ২১ অক্টোবর তিনি দলে ফিরতে পারবেন। উল্লেখ্য, গত মাসে গ্রিন বে-র বিপক্ষে খেলার সময় ব্রাঞ্চের ‘ফেস মাস্ক’ এবং অসদাচরণের জন্য প্রায় ২৩ হাজার ১৮৬ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছিল। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার সমান।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস