বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে বাবার ভাষণ: এক মেয়ের অপূর্ণ বিয়ের স্মৃতি।
সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে এক তরুণীর। বিয়ের আনন্দময় স্মৃতিগুলো উপভোগ করার পরিবর্তে, তিনি এখনও তার বাবার দেওয়া একটি ভাষণের কারণে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি তার এই দুঃখের কথা জানিয়েছেন।
বিয়েতে বাবার ভাষণ দেওয়ার রীতি অনেক সময় আনন্দের উপলক্ষ্য হয়, যেখানে বাবা-মা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা জানান। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে, এমনটা তিক্ত অভিজ্ঞতায় পরিণত হতে পারে। এই তরুণীর ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে।
মেয়েটির ভাষ্যমতে, তার বাবা বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে অতিরিক্ত উৎসাহী ছিলেন এবং অনেক সময় কর্তৃত্ব দেখাতেন। বিয়ের দু’দিন আগে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়, এবং বাবা সে জন্য ক্ষমাও চাননি।
বিয়ের দিন বাবার ভাষণে তিনি (বাবা) মেয়ে অথবা মেয়ের স্বামীকে নিয়ে কোনো কথা বলেননি। বরং তিনি এমন কিছু কৌতুক করেন, যা উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে হাসির পরিবর্তে বিরক্তির সৃষ্টি করে। কৌতুকগুলো ছিল, “পুরোনো বউ বিষয়ক” এবং স্ত্রীর কথা না শোনার মতো বিষয় নিয়ে। তরুণীর মা এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাবার এই আচরণে বেশ বিব্রত হয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে যখন কনে ও তার বাবার নাচের পালা আসে, তখন বাবার চোখে জল দেখা যায়। কিন্তু মেয়ের মনে বাবার সেই ভাষণটি গভীর ক্ষোভের জন্ম দেয়। মেয়ের ভাষায়, “বাবার আচরণে আমি এত বিরক্ত হয়েছিলাম যে, আমার খারাপ লেগেছিল। অতিথিরাও এই ভাষণটিকে ভালোভাবে নেয়নি এবং আমার স্বামীও এতে বিরক্ত হয়েছিলেন।”
এই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “বাবা সেদিন ছিলেন সবচেয়ে খারাপ মানুষ, এবং আমি সেই দিনটি আর ফিরে পাবো না।”
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আরও অনেকে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ বলেছেন, “আমার বাবা অনুষ্ঠানে সবার সামনে বলেছিলেন, আমি নাকি প্রথম পরোটার মতো – যা পুড়ে গিয়েছিল।” আবার কেউ বলেছেন, “আমার বিয়ের অনুষ্ঠানে বাবা বলেছিলেন, ‘এখন থেকে সে তোমার সমস্যা’। এরপর আমাদের আর কোনো কথা হয়নি।”
একজন মন্তব্য করেছেন, “বিয়েতে মানুষের আচরণ কেমন যেন বদলে যায়!”
এই ঘটনায় অনেকেই তরুণীর প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। অনেকে মনে করেন, বাবার এই ধরনের আচরণ কেবল তার নিজের জন্যই খারাপ, মেয়ের জন্য নয়।
তথ্য সূত্র: পিপল