বিয়েতে বাবার উদ্ভট কাণ্ড! বর-কনের মুখ লুকানোর জোগাড়!

বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে কনের বাবার ‘আত্ম-কেন্দ্রিক’ বক্তৃতা, বিব্রত বর-কনে ও অতিথিরা।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিয়ের ঘটনা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের বাবার আচরণে হতবাক হয়ে যান উপস্থিত সকলে।

ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় “ওয়েডিং শেইমিং” বিষয়ক একটি রেডডিট ফোরামে।

ফোরামের এক সদস্য জানান, তিনি একটি সুন্দর, সুখী দম্পতির বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কনের বাবার কিছু আচরণ সেখানে উপস্থিত সকলের কাছে বেশ অপ্রত্যাশিত ছিল।

ওই ব্যক্তি আরও জানান, বরের পরিবারের সদস্যরা কনের বাবাকে তেমন পছন্দ করতেন না, কিন্তু বিয়ের আগে এর কারণ তারা বুঝতে পারেননি।

কনের বাবা যেহেতু বিয়ের পৌরহিত্য করার অনুমতি পেয়েছিলেন, তাই তিনি প্রস্তাব দেন যে বিয়ের খরচ তিনি দেবেন, যদি তাকে এই কাজটি করতে দেওয়া হয়।

আর্থিক কারণে বর-কনে সেই প্রস্তাব মেনে নিতে বাধ্য হন।

কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে তিনি আবেগঘন বক্তব্য দেওয়ার পরিবর্তে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এমন কিছু কথা বলেন, যা শুনে উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে যান।

ফোরামের ওই সদস্য আরও জানান, কনের বাবা মূলত একটি “অ্যামেচার স্ট্যান্ড-আপ কমেডি” পরিবেশন করেন, যেখানে তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া ও মনোমালিন্যের নানা বিষয় তুলে ধরেন।

বক্তৃতায় তিনি কিছু জিনিসপত্রও ব্যবহার করেন, যেমন: গ্যাসের সিলিন্ডার (গাড়িতে গ্যাস ভরানো নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার প্রতীক হিসেবে), পুরনো একটি ফ্লিপ ফোন (মেসেজের উত্তর না দেওয়া নিয়ে ঝগড়ার প্রতীক হিসেবে) এবং পুরোনো একটি কফি মেকার (যা স্ত্রী বদলাতে চাইলেও তিনি রাজি ছিলেন না)।

বিয়েতে উপস্থিত বর-কনে অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর তাদের কিছুই করার ছিল না।

অনুষ্ঠান শেষে যখন অতিথিরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন, তখন সবার মনে একই প্রশ্ন ছিল— “এটা কি হলো?”

এরপর রিসেপশন অনুষ্ঠানেও কনের বাবা একই ধরনের কাণ্ড করেন। কনের মা ও ভাই-বোন সুন্দর বক্তব্য রাখলেও, বাবার পালা আসার পরে তিনি নবদম্পতিকে হতাশ করেন।

তিনি তার ক্যারিয়ার, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস, নিজের গাড়ি এবং স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া নিয়ে কথা বলেন। এমনকি অন্যান্য সন্তানদের বিয়ে নিয়ে তার গর্বের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

রেডডিটের ওই ব্যবহারকারী আরও জানান, “পুরো বিয়ে জুড়েই আমি বর-কনের জন্য খারাপ অনুভব করেছি। তারা চমৎকার একটি জুটি এবং তাদের এমন একজন আত্ম-কেন্দ্রিক বাবার জন্য এমন পরিস্থিতির শিকার হওয়া উচিত হয়নি।”

এই পোস্টের নিচে মন্তব্যকারীরা কনের বাবার এমন আচরণকে “বিশ্রী” বলে অভিহিত করেছেন। তারা আরও বলেন, ওই ব্যক্তি বিয়ের অনুষ্ঠানটিকে নিজের ব্যক্তিগত বিষয় বানিয়ে ফেলেছিলেন।

অনেকেই তাদের নিজেদের বিয়ের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, তিনি তার রিসেপশনের উপস্থাপককে আগেই বলে রেখেছিলেন, “কোনো অবস্থাতেই আমার শ্বশুরকে মাইক্রোফোন দেবেন না।”

আরেকজন জানান, তার শ্বশুরমশাইকে বার বার বলতে হতো যাতে তিনি কথা বলা বন্ধ করেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *