বিয়ে করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু বিমানবন্দরেই ঘটল বিপত্তি! পাসপোর্ট জনিত সমস্যার কারণে কনেকে ফেরত পাঠানো হল, বিয়ের চার দিন আগে। এমনই এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার শিকার হয়েছিলেন জোয়ি এবং ব্লেন কনান্ট দম্পতি।
অবশেষে সব বাধা পেরিয়ে কিভাবে স্বপ্নের বিয়েটা সারলেন, সেই গল্প শুনুন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার বাসিন্দা জোয়ি এবং ব্লেন, বিয়ের জন্য কোস্টারিকা বেছে নিয়েছিলেন। সেখানে সমুদ্রের ধারে একটি সুন্দর স্থানে প্রায় ২৫ জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের নিয়ে বিয়ের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
কিন্তু বিধি বাম! বিয়ের কয়েক দিন আগে, তাদের সব স্বপ্নে যেনো জল ঢেলে দেয় এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। কোস্টারিকায় পৌঁছানোর পরেই পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতায় পড়েন কনে জোয়ি।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের ১২ই নভেম্বর, ভোরবেলা। সকলে যখন বিয়ের আনন্দে বিভোর, তখনই যেনো নেমে আসে এক ঘোর অন্ধকার। মায়ামি হয়ে কোস্টারিকায় পৌঁছানোর পর, ইমিগ্রেশন অফিসার জোয়ির পাসপোর্ট নিয়ে কিছু গড়বড় দেখতে পান।
এরপরই জানা যায় আসল ঘটনা। পাসপোর্টটি সম্ভবত হারিয়ে গেছে অথবা চুরি হয়েছে, এমনটাই জানানো হয়। যেহেতু জোয়ির নামের সাথে অন্য কারও নামের মিল ছিল, তাই অনিচ্ছাকৃতভাবে এই সমস্যাটি তৈরি হয়।
অবশেষে, কান্নাজড়িত চোখে জোয়িকে মায়ামিতে ফেরত যেতে হয়। একদিকে যখন বিয়ের জন্য সকলে প্রস্তুত, তখন এমন খবরে সবাই ছিলেন হতবাক। বর ব্লেনও চেয়েছিলেন কনের সাথে ফিরতে, কিন্তু বিয়ের অন্যান্য প্রস্তুতিগুলো দেখাশোনা করার জন্য তিনি যেতে পারেননি।
এরপর শুরু হয় আসল যুদ্ধ। কিভাবে দ্রুত নতুন পাসপোর্ট পাওয়া যায়, সেই চেষ্টা শুরু হয়। আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধব, এমনকী রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তারা।
কিন্তু কোনো উপায় হচ্ছিল না। অবশেষে, বিমানকর্মীদের সহযোগিতায় জোয়ি একটি পাসপোর্ট অফিসের ঠিকানা পান, যেখানে দ্রুত পাসপোর্ট তৈরি করা সম্ভব।
দিনের পর দিন কেটে যাচ্ছিলো, আর উদ্বেগে সকলের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে, বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর, জোয়ি জানতে পারেন যে তিনি দ্রুত পাসপোর্ট হাতে পাবেন।
এরপরেই যেনো আনন্দের ঢেউ লাগে সবার মাঝে। তড়িঘড়ি করে তিনি আবার কোস্টারিকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
অবশেষে, বহু প্রতীক্ষার পর, বিয়ের দু’দিন আগে জোয়ি কোস্টারিকায় পৌঁছান। এরপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, অর্থাৎ বিয়ের দিন।
প্রকৃতিরও যেনো তাদের প্রতি ছিলো অন্যরকম আশীর্বাদ। বিয়ের দিন বৃষ্টি হওয়ায় অনেকে চিন্তিত ছিলেন। তবে জোয়ি এবং ব্লেন-এর কাছে, এই বৃষ্টি ছিলো শুভকামনার প্রতীক।
বৃষ্টির মধ্যেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের ভালোবাসার সাক্ষী থাকে উপস্থিত সকলে। বর ব্লেন জানান, জীবনের প্রতিকূলতা এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনার মধ্যে থেকেও ভালোবাসার জয় হয়, যা তাদের কাছে অনেক মূল্যবান।
তথ্য সূত্র: পিপল