বিয়েতে ‘আধুনিক’ ভোজের আয়োজন, আত্মীয়দের ফাস্ট ফুড কাণ্ড!
বিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান, যেখানে সবাই চায় সবকিছু নিখুঁত হোক। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে বিয়ের আয়োজন মানেই বিশাল কর্মযজ্ঞ। সেখানে খাবারের মেনু থেকে শুরু করে সাজসজ্জা – সব দিকেই থাকে বিশেষ নজর।
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে কনে তার বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের আয়োজন নিয়ে বেশ হতাশ হয়েছেন।
জানা গেছে, কনে এবং বর মিলে একটি “বিখ্যাত” শেফের তত্ত্বাবধানে তাদের বিয়ের সংবর্ধনার আয়োজন করেন। তারা চেয়েছিলেন একটি “আড়ম্বরপূর্ণ” দিনের বেলার ভোজের আয়োজন করতে। মেনু নির্বাচনেও ছিল বিশেষত্ব।
চিংড়ি এবং গ্রিটস, কুইশ, বিস্কুট বার, সসেজ, বেকন, চিকেন এবং ওয়াফেল সহ আরও অনেক সুস্বাদু খাবার পরিবেশনের পরিকল্পনা ছিল। প্রতিটি অতিথির জন্য খাবারের খরচ ধরা হয়েছিল প্রায় ১০,০০০ টাকার মতো। (১০০ মার্কিন ডলার)।
কিন্তু বিপত্তি ঘটলো কনের পরিবারের কিছু সদস্যের কারণে। কনের এক চাচা এবং তার পরিবার বিয়ের অনুষ্ঠানে আসার পথে একটি ফাস্ট ফুডের দোকানে যান এবং সেখান থেকে কিছু খাবার কিনে আনেন। কনে এতে আপত্তি করেননি, কিন্তু আসল ঘটনা ঘটে যখন তারা অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেন।
অনুষ্ঠানে আসার পর কনের চাচার স্ত্রী তাদের জন্য সাজানো খাবারগুলো দেখে পার্কিং লটে যান এবং সেখান থেকে ফাস্ট ফুডের প্যাকেটগুলো নিয়ে আসেন। এরপর তারা সেই খাবারগুলো অতিথিদের জন্য সাজানো একটি টেবিলে বসে খাওয়া শুরু করেন। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো, তারা সেই ফাস্ট ফুড খাওয়ার ছবি তোলেন এবং ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন।
কনে জানান, তারা ছবিগুলো এমনভাবে পোস্ট করেছেন যেন বিষয়টি নিয়ে তারা হাসাহাসি করছেন। তাদের পরিবারের অন্য একজন সদস্য ফাদার্স ডে উপলক্ষে করা একটি পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘ক্যাটারিং করা বিয়েতে ফাস্ট ফুড নিয়ে আসার মতো রুচিবোধ আর হয় না!’ আর তারা সবাই একসঙ্গে হেসে ওঠেন।
কনে এবং তার মা তাদের পরিবারের এই আচরণে খুব কষ্ট পেয়েছেন।
কনে জানান, তিনি ভীষণ হতাশ হয়েছেন। তিনি মনে করেন, বিয়ের মতো একটি বিশেষ দিনে যেখানে তিনি এত সময়, অর্থ এবং শ্রম দিয়েছেন, সেখানে তার পরিবারের এমন আচরণ তাকে অসম্মানিত করেছে। বিষয়টি তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই কনের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন এবং পরিবারের সদস্যদের এই আচরণকে “অশোভন” হিসেবে মন্তব্য করেছেন।
তবে, অনেকে কনেকে এই ঘটনাটি ভুলে যাওয়ার এবং তার সুন্দর স্মৃতিগুলো উপভোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মতে, এই ধরনের ঘটনাগুলো হয়তো ভবিষ্যতে হাসির খোরাক হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিয়ের দিনটি একটি বিশেষ দিন। তাই ছোটখাটো বিষয়গুলো মনে না রেখে, সুন্দর মুহূর্তগুলো উপভোগ করা উচিত।
তথ্যসূত্র: বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম।