বিয়েতে কুকুর নয়! বোনের আবদার ফিরিয়ে যা করলেন কনে, তুমুল আলোচনা!

একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে কুকুরকে ‘রিং বিয়ারার’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে কনে ও তার বোনের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরে বিয়ের পরিকল্পনা করছেন ২৭ বছর বয়সী এক তরুণী। তিনি চেয়েছিলেন একটি সাদামাটা, ঐতিহ্যপূর্ণ অনুষ্ঠান। কিন্তু তার ৩১ বছর বয়সী বোন চেয়েছিলে তার প্রিয় গোল্ডেন রিট্রিভার কুকুরটিকে বিয়ের অনুষ্ঠানে ‘রিং বিয়ারার’ হিসেবে ব্যবহার করতে।

কনে তার বোনের এই আবদারকে প্রথমে হেসে উড়িয়ে দিলেও, পরে তিনি জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে কুকুরকে অন্তর্ভুক্ত করার কোনো পরিকল্পনা তার নেই। তিনি জানান, অনুষ্ঠানটি “মানুষের মধ্যে” সীমাবদ্ধ রাখতে চান।

কনের এই সিদ্ধান্তে তার বোন “ক্ষুব্ধ” হন এবং তাকে “নিয়ন্ত্রণকামী” ও “আনন্দ-বিদ্বেষী” হিসেবে অভিযুক্ত করেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, কনের মা-ও মেয়ের পক্ষ না নিয়ে বোনের পক্ষ নেন এবং বিষয়টি “ছোট্ট একটি বিষয়” উল্লেখ করে আপস করার জন্য চাপ দেন।

ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি অনলাইন ফোরামে, যেখানে কনে তার এই দ্বিধা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি জানতে চান, তার এই সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই কনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

তাদের মতে, বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত অধিকার কনের এবং তিনি তার অনুষ্ঠান কেমন হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, যেহেতু এটি কনের বিয়ে, তাই এখানে অন্য কারো কোনো মতামত দেওয়ার সুযোগ নেই।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে নিজের পছন্দ-অপছন্দকে প্রাধান্য দেওয়াটা স্বাভাবিক। পরিবার ও বন্ধুদের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানানো জরুরি, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কনের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

অনেকেই মনে করেন, কনে তার বিয়ের দিনটি নিজের মতো করে সাজাতে পারেন এবং এক্ষেত্রে কারো চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *