বিয়েতে ‘নিয়ম ভাঙা’ সৎ মায়ের কাণ্ডে কনের চরম ক্ষোভ!

নববধূ তার সৎ মায়ের বিরুদ্ধে, বিয়ের অনুষ্ঠানে ফোন ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন। সম্প্রতি, একটি জনপ্রিয় অনলাইন আলোচনা প্ল্যাটফর্মে তিনি তার অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে কনের বিবাহ অনুষ্ঠানে, যেখানে একটি কঠোর ‘ফোন ব্যবহার নিষেধ’ নীতি ছিল।

জানা যায়, বিয়ের অনুষ্ঠানে কনে যখন তার বাবার হাত ধরে হেঁটে আসছিলেন, তখনই তিনি দেখতে পান তার সৎ মা, যিনি কিনা সামনের সারিতে বসে ছিলেন, তিনি নিয়ম ভেঙে মোবাইল ফোনে ছবি তুলছেন।

কনে জানান, এই দৃশ্যটি তার মনকে ভীষণভাবে আহত করেছে। তিনি বলেন, “আমি যখন হেঁটে আসছিলাম, তখনই দেখি আমার সৎ মা তার ফোন বের করে ছবি তুলছেন। মনে হচ্ছিল যেন তিনি এই সাধারণ নিয়ম-কানুন মানতে বাধ্য নন।”

বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে অনেকে কনের এই উদ্বেগের সাথে একমত পোষণ করেছেন। কনের সহকর্মীরাও এই ঘটনা দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।

কনে আরও জানান যে, বিয়ের কয়েক মুহূর্তের জন্য তার মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল, যদিও দিনটি অন্য সব দিক থেকে সুন্দর ছিল।

বিয়ের অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোন ব্যবহারের এই প্রবণতা বর্তমানে একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক দম্পতিই চান, তাদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে যেন সম্পূর্ণরূপে তাদের উপস্থিত অনুভব করেন এবং কোনো প্রযুক্তিগত ডিভাইসের মাধ্যমে তাদের মনোযোগ বিক্ষিপ্ত না হয়।

এমন পরিস্থিতিতে, ‘ফোন ব্যবহার নিষেধ’ নীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা অতিথিদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানায়।

ঘটনাটির পর, অনেকে কনেকে পরামর্শ দিয়েছেন যেন তিনি এই ঘটনাটিকে বেশি গুরুত্ব না দেন এবং তার সুন্দর স্মৃতির ওপর এর প্রভাব ফেলতে না দেন।

তারা মনে করেন, জীবনের আনন্দঘন মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করা উচিত এবং অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো মনে না রাখাই ভালো। কেউ কেউ মজা করে পরামর্শ দিয়েছেন যে, ছবি থাকলে তা পরিবারের সাথে শেয়ার করা যেতে পারে, যাতে বিষয়টি একটি স্থায়ী স্মারক হয়ে থাকে।

বর্তমান যুগে, সামাজিক অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। কারণ, অনেক সময় দেখা যায়, বিশেষ মুহূর্তগুলোতে মানুষজন ফোনের প্রতি বেশি মনোযোগী থাকে এবং চারপাশের পরিবেশকে সেভাবে উপভোগ করতে পারে না।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *