বরযাত্রী যাওয়ার প্রস্তুতি: পোষা কুকুরের কারণে বিয়েতে যেতে পারছেন না আত্মীয়
বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পরে, সবাই যখন আনন্দে বিভোর, তখনই এক নববধূ এক অপ্রত্যাশিত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। ২০২৭ সালে তিনি বিদেশের মাটিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চান।
পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ছোট একটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর এক খুব কাছের আত্মীয়া জানিয়েছেন, তিনি বিয়েতে আসতে পারবেন না, কারণ তাঁর একটি পোষা কুকুর আছে, যার দেখাশোনা করার লোক নেই।
নববধূর মন ভেঙে গেছে। তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের কথা বলার পরেই যখন ওই আত্মীয়া জানান যে তিনি আসতে পারবেন না, তখন তিনি খুব কষ্ট পেয়েছেন। তাঁর মনে হয়েছে, আত্মীয়াটি যেন কোনো বিকল্প ব্যবস্থা করার কথা ভাবতেই রাজি নন।
এমনকি, কুকুরটির দেখাশোনার জন্য অন্য কাউকে খুঁজে বের করারও চেষ্টা করেননি। নববধূর মতে, তিনি ভালোবাসেন, কিন্তু তাঁর মনে হয়েছে, বিয়েতে আসার চেয়ে ওই আত্মীয়ার কাছে পোষ্যটির যত্ন নেওয়াটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
বিষয়টি নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর অনুভূতির কথা জানিয়েছেন। সেখানে অনেকে তাঁর প্রতি সহানুভূতি দেখালেও, কেউ কেউ মনে করছেন, বিয়ের জন্য এত দূরে যাওয়ার পরিকল্পনা করাই হয়তো ভুল হয়েছে।
তাঁদের মতে, গন্তব্য-বিবাহে (destination wedding) অনেক সময় সবাই আসতে পারে না। কারণ, সবার পক্ষে এত খরচ করা বা সময়ের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় না। অনেকে আবার মনে করেন, ওই আত্মীয়া হয়তো অন্য কোনো কারণে বিয়েতে আসতে চাইছেন না, কিন্তু পোষ্যটির বিষয়টি একটি অজুহাত মাত্র।
সাধারণত, আমাদের দেশে পোষ্যদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা বাড়ছে, তবে তাদের দেখাশোনার বিষয়টি এখনো অনেকের কাছে সেভাবে গুরুত্ব পায় না। অনেকের ধারণা, আত্মীয়-স্বজনের বিয়েতে যোগ দেওয়াটা একটা সামাজিক দায়িত্ব।
সেখানে কোনো পোষ্যের কারণে কেউ যদি অনুপস্থিত থাকেন, তবে তা অনেকের কাছেই হয়তো অপ্রত্যাশিত মনে হবে।
এই ঘটনায় একদিকে যেমন নববধূর মন খারাপ হয়েছে, তেমনই ফুটে উঠেছে মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ ও পারিবারিক বন্ধনের মধ্যেকার টানাপোড়েন। সবারই নিজস্ব কিছু অগ্রাধিকার থাকে, যা সম্পর্কের ক্ষেত্রে কখনো কখনো জটিলতা তৈরি করে।
তথ্য সূত্র: People